এই ভিডিও সিরিয়ান বাহিনীর ওপর তুর্কি ড্রোন হামলার খবরের সাথে ২০২০ সাল থেকে অনলাইনে রয়েছে
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 3 মার্চ 2022, 10:11
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: Qadaruddin SHISHIR, এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে এখানে ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে: "রাশিয়া_ইউক্রেন_যুদ্ধ: বায়রাক্তার TB-2 দ্বারা রাশিয়ান দখলদার সেনাদের উপর এয়ার স্ট্রাইকের ভিডিও ফুটেজ।"
বায়রাক্তার টিভি২ তুরস্কের তৈরি একটি ড্রোন যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়া, আজারবাইজানসহ বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে অভিযানে অংশ নিয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। এর প্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পুরোদমে যুদ্ধের ঘোষণা দেন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধে কয়েকশ সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং জাতিসংঘের তথ্য মতে, ৫ লাখ ২০ হাজার মানুষ দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।
ড্রোন হামলা ফুটেজটি এখানে একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছে যা ১৮০,০০০ বারের বেশি দেখা হয়েছে।
একই ফুটেজ ফেসবুকে অন্যান্য ভাষায় যেমন: ইংরেজিতে এখানে, তুর্কি ভাষায় এখানে ও স্পেনিশ ভাষায় এখানে পোস্ট করা হয়েছে।
কিন্তু ফুটেজটির সাথে যুক্ত দাবিটি বিভ্রান্তিকর। মিডিয়াতে ইউক্রেন কর্তৃক তুর্কি বায়রাক্তার ড্রোন দিয়ে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ান বাহিনীর ওপর হামলার খবর প্রকাশিত হলেও আলোচ্য ভিডিওটি সিরিয়ায় তুরস্কের হামলার খবরের সাথে আগে প্রকাশিত হয়েছিল।
কীওয়ার্ড ও রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ২০২০ সালের মার্চে ইদলিবে সিরিয়ান সরকারি বাহিনীর সামরিক বহরে তুরস্কের ড্রোন হামলার খবরের সাথে ভিডিওটি পাওয়া গেছে।
সিরিয়ান টেলিভিশন চ্যানেল ওরিয়েন্ট ২০২০ সালের ৩ মার্চ ফুটেজটি টুইট করে আরবি ভাষায় ক্যাপশনে লিখেছে: "বায়রাক্তার আসাদের বাহিনীদের পুড়িয়ে দিয়েছে, ২৪ জন মারা গেছে এবং সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে।"
المسيّرة "بيرقدار" تحرق ميليشا أسد.. 24 قتيلا وتدمر آليات عسكرية#درع_الربيع#أورينتpic.twitter.com/sQg7XMRuaU
— Orient أورينت (@OrientNews) March 3, 2020
বাশার আল আসাদ ২০০০ সালে এক রেফারেন্ডামে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং এরপর থেকে দেশটি শাসন করছেন। তার সময়ে চলতি শতাব্দির সবচয়ে ভয়াবহতম সংঘাতগুলোর একটিতে জড়িয়ে পড়ে সিরিয়া।
একই ফুটেজ একই দিনে অন্য আরেকটি টুইটে পোস্ট করে ক্যাপশন দেয়া হয়: "দক্ষিণ ইদলিবের মারাত আল নুমান এলাকার কাছে সিরিয়ান সরকারি বাহিনীর একটি ট্যাংক ও সাজোয়াযানের বহর টিবি২ ড্রোনের হামলায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে"।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, ওই সময়ে সিরীয় প্রদেশ ইদলিবের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে তুরস্কের ড্রোন হামলায় ১৯ সরকারি সেনা নিহত হয়েছিল।
২০২০ সালের ১ মার্চ এএফপি জানায়, "সিরিয়ান অব অবজার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে জাবাল আল জাওইয়া ও মারাত আল নুমান শহরের কাছে সামরিক বহরে ড্রোন হামলায় ১৯ জন মারা গেছেন।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ