A picture taken in September 2005 shows Ukraine's Snake Island, which was owned by Romania until 1948 when it was ceded to the then-Soviet Union ( AFP / Genya Savilov) ( AFP / GENYA SAVILOV)

ইউক্রেনীয় দ্বীপ রক্ষায় চেষ্টারত সৈন্যরা নিহত হননি, আটক হয়েছেন 

সামাজিক মাধ্যম, বিভিন্ন অনলাইন প্রতিবেদন এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির বিবৃতিতে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৩ জন সদস্যকে রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজের নির্দেশ সত্ত্বেও আত্নসমর্পণ না করে প্রাণ দেয়ার দাবি করে তাদেরকে বীর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তবে দাবিটি অসত্য; ইউক্রেনের নৌবাহিনী পরবর্তীতে স্বীকার করে যে, এই সদস্যরা নিহত হননি, বরং আটক হয়েছেন। মস্কো অবশ্য বেশ কয়েকজনকে আটক করার কথা জানিয়েছে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারির একটি ফেসবুক পোস্টে লেখা রয়েছে, “মাত্র ১৩ জন ইউক্রেন সেনা #Zmeiny দ্বীপ রক্ষা করার জন্য রাতভর রাশিয়ান সেনাদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে ; তবুও রাশিয়ার বিশাল বহরের কাছে এই ১৩ জন সেনা আত্মসমর্পণ করে নাই।”

“যাই হোক, অবশেষে ১৩ জনই নিহত আর দ্বীপটি এখন রাশিয়ার দখলে রয়েছে।”

Image
( Mohammad MAZED)

ফেসবুক, টুইটার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও একইরকম দাবি করা হয় ইউক্রেনের সরকারি সূত্রের বরাতে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের কোস্ট গার্ড জানায় যে কৃষ্ণ সাগরে অবস্থিত ছোট কিন্তু কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ন জেমিনি (স্নেইক) আইল্যান্ড রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজের হামলার শিকার হয়েছে। পরবর্তীতে অপর বিবৃতিতে জানানো হয় যে, দ্বীপটি রুশ বাহিনী অধিকা করেছে এবং দ্বীপটি রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ইউক্রনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা অ্যান্টন গেরাশেঙ্কো এক ফেসবুক পোস্টে জানান, সীমান্তরক্ষার কাজে নিয়োজিত ১৩ সদস্য নিহত হয়েছেন এবং পোস্টটির সাথে একটি অডিও রেকর্ডিং সংযুক্ত করেন। রেকর্ডিংটি অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিও তার এক বক্তব্যে এই সেনা সদস্যদেনর প্রশংসা করেন এবং বলেন, তাঁরা বীরত্বের সাথে মৃত্যুবরণ করেছে।

তবে রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা তাস জানায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেঙ্কভ বলেছেন ইউক্রেনীয় বাহিনীর ৮২ সদস্য আত্নসমর্পন করেছেন।

গত ২৮ ফেব্র্র্রুয়ারি ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের নৌবাহিনী জানায়, সেনা সদস্যরা নিহত নয়, বরং আটক হয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা জেনে আনন্দিত যে, আমাদের ভাইয়েরা জীবিত আছেন এবং ভালো আছেন।”

এই বিবৃতি দেয়ার পরও বেশিরভাগ সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট আপডেট করা হয়নি এবং পুরনো ভুল তথ্যই ছড়ানো হচ্ছে।

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ