আমরা যেভাবে কাজ করি
ক্ষতিকর ও ভাইরাল বিভ্রান্তিকর তথ্য যাচাই
অনলাইনে ছড়ানো যেসকল সন্দেহজনক দাবি ভাইরাল হয়, ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে এবং সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এএফপি'র ফ্যাক্ট চেকাররা সেসকল দাবি যাচাই করার চেষ্টা করেন। আমরা যেসব দাবি যাচাই করি তা সামাজিক মাধ্যম, ব্লগ, ওয়েবসাইট, মেস্যাজিং অ্যাপ এবং অন্যান্য ফোরামে বিভিন্নভাবে ছড়ায়।
একটি ফ্যাক্টচেক জনস্বার্থের আওতায় পড়ে কি না এবং আমরা একটি দাবি খণ্ডন করতে যথেষ্ট এবং স্পষ্ট প্রমাণ যোগাড় করতে পারবো কি না তার উপর ভিত্তি করে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি যে, কোন দাবিটি ফ্যাক্ট চেক করবো। এএফপি ফ্যাক্ট চেকিং টিম কেবল ফ্যাক্ট-ই যাচাই করে, কোন মতামত বা বিশ্বাসকে নয়। আমরা যদি শক্তিশালী এবং নিখুঁত প্রমাণ যোগাড় করতে না পারি সেক্ষেত্রে আমরা ফ্যাক্ট চেকটি প্রকাশ করি না।
যেসব মিসইনফরমেশন সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য বা জীবনের উপর হুমকিস্বরূপ, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে অথবা হেট স্পিচ ও রেসিজমকে উৎসাহিত করে সেগুলোকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
দাবিটি কে ছড়িয়েছে তা আমাদের কাছে মূখ্য নয়, বরং আমরা সমানভাবে অনুসন্ধানী প্রক্রিয়া ও মান বজায় রাখার চেষ্টা করি। আমরা একক কোন ব্যক্তি, দল কিংবা ওয়েবসাইটের উপর গুরুত্ব দিই না। তবে যেসব উৎস থেকে ধারাবাহিকভাবে সম্ভাব্য ক্ষতিকর মিসইনফরমেশন ছড়ানো হয় সেগুলোর উপর আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করি। নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতার ব্যাপারে এএফপির দায়বদ্ধতা সংক্রান্ত নৈতিক মান নিয়ে এখানে পড়তে পারেন।
উন্মুক্ত উৎস
আমাদের ফ্যাক্ট চেকসমূহ আমাদের ফ্যাক্ট চেক সাংবাদিকদের যোগাড় করা নিরপেক্ষ প্রাথমিক উৎসের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে আমরা এএফপির আর্কাইভ এবং বিশ্বব্যাপী আমাদের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সহায়তাও নিয়ে থাকি। আমরা অনেক সময় বিশেষজ্ঞদের সাথেও কথা বলি এবং আমাদের ফ্যাক্ট চেকে তাদের পরিচিতি, তাদের বিশেষত্ব এবং সম্ভাব্য কোন স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকলে সেটা সহ তার মন্তব্য সংযুক্ত করে দেই। সাধারণত আমরা একটি ফ্যাক্ট চেকের প্রধান দাবি খণ্ডন করার জন্য অন্তত: দুটি স্বতন্ত্র উৎস থেকে তথ্য দেয়া জরুরি মনে করি।
একটি ফ্যাক্ট চেক প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় লিঙ্ক, এমবেড, স্ক্রিনশট, ছবি এবং আর্কাইভ ইত্যাদি সংযুক্ত করার মাধ্যমে আমরা স্বচ্ছভাবে আমাদের ফ্যাক্ট চেক করার প্রক্রিয়াটি দেখানোর চেষ্টা করি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো আমরা কিভাবে তথ্যটি যাচাই করেছি তা পাঠককে জানানো যাতে পাঠক নিজেও চাইলে একই প্রক্রিয়ায় দাবিটি যাচাই করতে পারেন।
সাধারণত এএফপি'র ফ্যাক্ট চেকে নামহীন কোন সোর্স ব্যবহার করা হয় না। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে কোন প্রতিবেদনে সোর্সের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে এবং তার দেয়া তথ্য আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলে এবং তা অন্য উন্মুক্ত সোর্স দ্বারা সমর্থিত হলে সেখানে নাম উল্লেখ নাও থাকতে পারে।
যদি কোন দাবির অংশবিশেষ সত্য হয় তবে তা আমরা আমাদের ফ্যাক্ট চেকে স্বীকার করে থাকি।
টুলস এবং প্রক্রিয়াসমূহ
আমরা ফ্যাক্ট চেকিংয়ে প্রথাগত সাংবাদিকতার কৌশল, কিছু টুলস, সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান এবং অত্যধিক সতর্কতা প্রয়োগ করে থাকি।
উদাহরণস্বরূপ, আমাদের যদি মনে হয় কোন ছবি পরিবর্তন করে কিংবা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে আমরা মূল ছবিটির জন্য অনুসন্ধান করি এবং ছবির ফটোগ্রাফার অথবা বিষয়বস্তুর সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। আবার আমরা যদি এমন কোন দাবি পাই যেখানে দাবিটিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোন ডাটা বা উপাত্ত উপস্থাপন করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে আমরা মূল উৎসের জন্য অনুসন্ধান করি এবং দাবিটিতে উপস্থাপিত পরিসংখ্যানের ব্যাপারে তাদের মতামত জানার জন্য বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলি।
অসত্য তথ্যটির উপর বাড়তি ক্লিক এড়াতে এবং তথ্যটির রেকর্ড রাখতে আমরা ওয়েব্যাক মেশিন অথবা পার্মা সিসির মতো আর্কাইভ টুল ব্যবহার করি।
আমাদের ফ্যাক্ট চেকের ক্ষেত্রে আমরা সচরাচর যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করি তা নীচে দেয়া হলো:
ছবি সার্চ
অনেক সময় অসত্য তথ্যের সাথে পুরনো ঘটনার ছবি জুড়ে দেয়া হয়।
একটি ছবির উৎস খুঁজতে গিয়ে ছবিটি এর আগে অনলাইনে এসেছে কি না তা জানার জন্য আমরা প্রথমে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যম ছবিটিকে এক বা একাধিক সার্চ ইঞ্জিনে দিয়ে আমাদের অনুসন্ধান শুরু করি।
গুগল ক্রোম ব্রাউজারে একটি ছবিতে রাইট ক্লিক করলে 'সার্চ গুগল ফর ইমেজ' নামে একটি অপশন আসে। এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনটি তার পুরো ডাটাবেজ ঘেঁটে দেখে যে, ছবিটি তার ইনডেক্সে আছে কিনা।
আমরা সাধারণত: ইনভিড/উইভেরিফাই এক্সটেনশন ব্যবহার করি ও করতে পরামর্শ দেই। এই এক্সটেনশনটি ইনস্টল করলে কেবল একটি রাইট ক্লিকের মাধ্যমেই তা গুগল, বিং, ইয়ানডেক্স, টিনআই এবং বাইদু'র মতো সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করার সুবিধা দেয়।
তবে রিভার্স সার্চ সবসময় ফল দিতে পারে না, হয়তো ছবিটি এর আগে ইন্টারনেটে কোথায় আসেনি এজন্য অথবা হয়তো আসলেও তা ইনডেক্স হয়নি এজন্য। অনেক সময় মূল ছবিকে ফ্লিপ করে ছড়ানোর ফলে সার্চ ইঞ্জিন সঠিকভাবে ছবিটি ধরতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে করা আমাদের এই প্রতিবেদনটির কথা বলা যায়।
এছাড়াও কোন ছবির স্থান ও কাল নির্ধারণে আমরা দৃশ্যমান অন্যান্য নিদর্শন তথা দোকানের সাইনবোর্ড, রাস্তার সাইন, স্থাপনা, যানবাহনে নাম্বার প্লেট ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করি।
উদাহরণস্বরূপ নীচের এই ছবিটির কথা বলা যায়। আমরা ছবিটিতে থাকা স্থাপনা ও সাইনকে গুগল ম্যাপস স্ট্রিট ভিউয়ের সাথে মিলিয়ে ছবিটি নেদারল্যান্ডে তোলা বলে নিশ্চিত হয়েছি।
ছবি বা ভিডিও সবসময় একটি দাবির পক্ষে প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট নয়। আমরা ছবিটি প্রকাশের তারিখ ও অন্যান্য বিষয়াদি (আবহাওয়া ইত্যাদি) যাচাই করার মাধ্যমে এর সম্পৃক্ততা যাচাই করার চেষ্টা করি।
সন্দেহজনক কোন ছবি যাচাই করার সময় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি ছবিটির মূল ফাইল খুঁজে পেতে যাতে আমরা নিশ্চিত হতে পারি ছবিটি কোনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে কি না।
ভিডিও যাচাই
ভিডিও যাচাই করার সময়ও আমরা এএফপির অংশগ্রহণে তৈরি ইনভিড/উইভেরিফাই এক্সটেনশনটি ব্যবহার করি। এই টুলটি একটি ভিডিওকে ভেঙ্গে বেশ কিছু স্থিরচিত্র/ছবি প্রস্তুত করে এবং সেই ছবি রিভার্স ইমেজ সার্চ করার মাধ্যমে ভিডিওটি ইন্টারনেটে সার্চ করার অপশন দেয়।
কোন ছবি ফ্লিপ করা হয়েছে বলে সন্দেহ হলে এই টুলটিতে ছবিটিকে পুনরায় ফ্লিপ করে মূল অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার অপশন রয়েছে।
মন্তব্য ও ডাটা'র সত্যতা যাচাই
একটি প্যারাকে সাধারণ কপি পেস্ট করে সার্চ ইঞ্জিনে দেয়ার মাধ্যমে অনেক সময় জানা যায় যে, তা আগে অনলাইনে ছিল কি না।
যদি কোন ব্যক্তির নামে কোন বক্তব্য ছড়ানো হয় তবে আমরা চেষ্টা করি তিনি আসলেই তা বলেছেন কিনা সেটা নির্ভরযোগ্য কোন সূত্র (অডিও, ভিডিও, অফিসিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট) থেকে নিশ্চিত হওয়ার। এছাড়া আমরা তার অনলাইন প্রোফাইল সমূহ থেকেও তথ্যটি খোঁজার চেষ্টা করি এবং অনেক সময় তার বিবৃতির জন্য সরাসরি তার সাথে যোগাযোগ করি।
কোয়ান্টিটেটিভ ডাটা যাচাইর ক্ষেত্রে আমরা মূল গবেষণা এবং এর পদ্ধতি খুঁজে বের করার চেষ্টা করি এবং গবেষণাটি বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য একই গবেষণার লেখক অথবা একই বিষয়ের বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলি।
আমরা প্রায়ই এমন অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করি যেখানে আমাদের জানাশোনা খুব সীমিত। এক্ষেত্রে আমরা নির্দিষ্ট বিষয়, স্থান বা ভাষায় দক্ষ এএফপি সাংবাদিকদের সহায়তা নিয়ে করে কাজ করি। আমরা বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে সম্পর্কিত দাবির ক্ষেত্রে এএফপি'র বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত ফ্যাক্ট চেকিং টিম এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।
তথ্যের সত্যতা যাচাই
ইন্টারনেটে ছড়ানো সূত্রহীন কোন দাবি যখন সন্দেহজনক মনে হয় তখন প্রথমেই আমরা সেই পোস্টের কমেন্টগুলো দেখার চেষ্টা করি। অনেক সময় সেখানে বিপরীত কিছু তথ্য পাওয়া যায় অথবা পোস্টটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
পোস্টটিতে যদি কোন ব্যক্তি বা সংস্থার নাম উল্লেখ করা থাকে তবে আমরা তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করি। প্রয়োজন হলে এবং সম্ভব হলে আমরা দাবিটি যে সূত্র থেকে ছড়িয়েছে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি।
যদি কোন ঘটনার একটি ছবি বা ভিডিও ছড়ায় সেক্ষেত্রে তুলনা করার জন্য আমরা একই ঘটনার ভিন্ন ছবি বা ফুটেজ খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। আমরা ছবিটির ফটোগ্রাফারের সাথেও অনেক সময় যোগাযোগ করি।
ইন্টারনেটেই সীমাবদ্ধ নয়
কিছু ফ্যাক্ট চেকের ক্ষেত্রে কেবল ইন্টারনেট আর টেলিফোন যথেষ্ট নয়। অনেক সময় সাংবাদিকতার স্বাভাবিক রীতি অনুযায়ী মাঠে গিয়েও তথ্য নিতে হয়। যখন সরাসরি গিয়ে কিছু যাচাই করা সম্ভব হয় তখন নিজে গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের রিপোর্টারদেরকে স্পটে প্রেরণ করি। আমরা এক্ষেত্রে এএফপির বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত সাংবাদিকদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।
উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালের এপ্রিলে ইউক্রেনের বুচা শহরে ডজন খানেক মৃতদেহ পড়ে থাকার একটি ভিডিওকে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ সাঁজানো বলে দাবি করলে সেখানে থাকা আমাদের এএফপি সাংবাদিকরা ফ্যাক্ট চেক টিমকে নিশ্চিত করেন যে এটা সাঁজানো নয়, বরং মৃতদেহগুলি সেখানে কয়েক দিন ধরে পড়ে ছিল।
সম্পাদনা ও রেটিং নীতি
একটি ফ্যাক্ট চেক প্রতিবেদন করার সময় আমাদের রিপোর্টাররা আঞ্চলিক এডিটরদের সাথে যোগাযোগ করেন। এডিটররা বিভ্রান্তিকর দাবি ও ফ্যাক্ট চেক নিয়ে রিপোর্টারদের সাথে কথা বলেন এবং কী প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে তা আলোচনা করার পর প্রতিবেদনটি সম্পাদনা করেন।
প্রতিটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য এএফপির ব্লগে প্রকাশিত ফ্যাক্ট চেকগুলোতে একটি রেটিং উল্লেখ থাকে। রেটিংটি হয়তো হেডার ইমেজে উল্লেখ থাকে অথবা ফ্যাক্ট চেকের ভূমিকাতে লেখা থাকে।
টিংয়ে আমরা যেসব টার্ম ব্যবহার করে থাকি:
- অসত্য-- আমরা একটি দাবি অসত্য হিসেবে আখ্যায়িত করি যখন তা কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে অসত্য বলে প্রমাণিত হয়।
- সত্য--আমরা একটি দাবি সত্য হিসেবে আখ্যায়িত করি যখন তা কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সত্য বলে প্রমাণিত হয়।
- বিভ্রান্তিকর--যখন কোন সত্য তথ্যকে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে অথবা অসত্য খবরের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয় তখন আমরা সেটিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকি।
- বিকৃত ছবি--যখন বিভ্রান্ত করার জন্য কোন ছবিকে বিকৃত করা হয়।
- বিকৃত ভিডিও--যখন বিভ্রান্ত করার জন্য কোন ভিডিওকে বিকৃত করা হয়।
- মিসিং কনটেক্সট--যখন কোন দাবি আংশিকভাবে সত্য কিন্তু আরো তথ্য না দিলে বিভ্রান্তিকর হতে পারে।
- রম্য রচনা (স্যাটায়ার)-- যখন কোন অসত্য দাবি বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য সম্ভাবনা রাখে যদিও মূলত হয়তো তা বিভ্রান্ত করার জন্য পোস্ট করা হয়নি।
- বানোয়াট (হোক্স)-- যখন কোন ছবি বা ঘটনাকে ইচ্ছেমতো বানিয়ে ছড়ানো হয়।
- ডিপফেক--যখন কোন ভিডিও বা অডিও রেকর্ডিংকে বাস্তব বোঝানোর জন্য আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে বিকৃত করা হয়।
আমাদের ফ্যাক্ট চেকিং প্রক্রিয়া ও সম্পাদনা নীতিমালা এএফপির ফ্যাক্ট চেকিং স্টাইলবুকে পাওয়া যাবে।
অনলাইন প্লাটফর্মদের সাথে পার্টনারশিপ
মেটা প্রোগ্রাম
ফেসবুকের থার্ড পার্টি ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ফেসবুক এবং ইনস্টগ্রামে ফ্ল্যাগ হওয়া পোস্টকে আমাদের অনুসন্ধান কাজের অংশ বিবেচনা করি, এবং ফেসবুকে অসত্য, আংশিক অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর হিসেবে চিহ্নিত পোস্টগুলোর ওপর আমাদের ফ্যাক্ট চেক যুক্ত করে দেয়া থাকে।
হোয়াটসঅ্যাপ
ব্রাজিল, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র (স্পেনিশ ভাষায়), ভারত, জার্মানি এবং ফ্রান্সে আমাদের ফ্যাক্ট চেকিং টিমগুলো হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের ব্যবস্থা রেখেছে যাতে সাধারণ মানুষ যাচাইয়ের জন্য কোন দাবি পাঠাতে পারেন।
ক্লেইম রিভিউ টুল
এএফপি তার ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিবেদনগুলোতে ক্লেইম রিভিউ টুল ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে গুগল এবং বিং এর মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলো বিশেষ কোন সার্চের ফলাফল হিসেবে ফ্যাক্ট চেকগুলো তুলে ধরতে পারে।
আমাদের পার্টনারশিপ এবং অর্থসংস্থানের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানুন এখানে।