সুদানের মানবিক সংকট নিয়ে এআই দিয়ে তৈরি ক্লিপ ব্যবহার
- প্রকাশিত 3 ডিসেম্বর 2025, 13:00
- আপডেট করা হয়েছে 3 ডিসেম্বর 2025, 13:08
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: Tolera FIKRU GEMTA, এএফপি ইথিওপিয়া, এএফপি বাংলাদেশ
- অনুবাদ এবং অভিযোজন Rasheek MUJIB
অক্টোবর মাসের শেষের দিকে সুদানের এল-ফাশের শহরে নৃশংস হামলা চালায় দেশটির আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে একটি ক্লিপ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে সেটিকে দুই সন্তানকে জড়িয়ে ধরে সুদানের একজন মায়ের সাহায্য চাওয়ার ভিডিও বলে দাবি করা হয়। তবে ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি।
৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ছড়ানো একটি ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, “দুধের শিশুকে বুকে নিয়ে, কাঁদছে সুদানের মা! সুদানের এই মায়ের আকুতি, আদরের সন্তান বিপদে। সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে পৌঁছে তার আর্তনাদ। শুধু এক ছোট্ট সাহায্যের আশায়।”
পোস্টে যুক্ত ১২ সেকেন্ডের একটি ক্লিপে ধ্বংসাবশেষের মাঝে দুটি বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরে একজন নারীকে কাঁদতে দেখা যায়।
মহিলাটিকে আরবিতে বলতে শোনা যায়, “হে প্রভু, আমাদের সাথে থেকো, হে আরবরা, হে মুসলিমরা, হে বিশ্ব! সুদানের শিশুরা বিপদের মধ্যে আছে।”
ফেসবুকে অন্যত্র এখানে এবং এখানে পোস্টটি ছড়ানো হয়। এছাড়া নেদারল্যান্ডস ও ফিলিস্তিনেও একই দাবিতে পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ে।
সুদান সংকট
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে আধাসামরিক বাহিনী আএসএফ।
সুদানের এই যুদ্ধ দুই বছরেরও বেশি সময় আগে শুরু হয়। গত ২৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে পশ্চিম দারফুরে দেশটির সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি দখল নেয়ার পর আরএসএফের বিরুদ্ধে এল-ফাশেরে গণহত্যা এবং অন্যান্য নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ ওঠে (আর্কাইভ লিংক)।
এল-ফাশেরে নৃশংসতা সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য ১৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে তদন্তের নির্দেশ দেয় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল(আর্কাইভ লিংক)।
সুদানের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের এখন মানবিক সহায়তার প্রয়োজন বলে পরের দিন এএফপিকে জানান ডেনিস শরণার্থী কাউন্সিলের প্রধান (আর্কাইভ লিংক)।
তবে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একজন মায়ের অনুনয়ের ক্লিপটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি।
এআই দিয়ে তৈরি ক্লিপ
এএফপি ফ্যাক্ট চেক ভিডিওতে থাকা কিছু সাধারণ অসঙ্গতি সনাক্ত করেছে, যা সাধারণত এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওতে থেকে থাকে।
প্রথমত, যখন ক্লিপটিতে ক্লোজ-আপ শট নেওয়া হয়, তখন মা এবং তাঁর সন্তানদের ত্বকের রঙে একটি সূক্ষ্ম পরিবর্তন দেখা যায়।
দ্বিতীয়ত, কথা বলার সময় মহিলার বাম হাতের শিশুটিকে অস্বাভাবিকভাবে স্থির থাকতে দেখা যায়। একই সময়ে অন্য শিশুটিকে নড়াচড়া করতে দেখা যায়।
এআই -জেনারেটেড কন্টেন্ট সনাক্ত করার টুল হাইভ মডারেশনে ক্লিপটি বিশ্লেষণ করেছে এএফপি ফ্যাক্ট চেক। এতে ফুটেজটি ৯২ শতাংশ কৃত্রিম হওয়ার সম্ভাবনা দেখানো হয়।
এএফপি ফ্যাক্ট চেক সুদান সংকট সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি দাবি ইংরেজি এবং আরবি ভাষায় খণ্ডন করেছে।
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ