
গ্রিনল্যান্ডের পুরনো সুনামির ফুটেজকে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে রাশিয়ার ভূমিকম্পের সাথে অসত্যভাবে সম্পৃক্ত করে প্রচার
- প্রকাশিত 12 আগস্ট 2025, 12:41
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: Devesh MISHRA, এএফপি ইন্ডিয়া, এএফপি বাংলাদেশ
- অনুবাদ এবং অভিযোজন Rasheek MUJIB
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
৩০ জুলাই ২০২৫ তারিখে একটি ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে ভিডিওটি শেয়ার করে বলা হয়, “"রাশিয়া আর জাপানে ভূমিকম্প।”
ভিডিওতে দুই ব্যক্তিকে তীরে আছড়ে পড়া ঢেউ থেকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।

এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটিতে রাশিয়ার তুলনামূলক কম জনবসতিপূর্ণ দূর পূর্বাঞ্চলে ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর অসত্য পোস্টটি অনলাইনে ছড়ানো হয়। ভূমিকম্পের ফলে প্রশান্ত মহাসাগর জুড়ে বিভিন্ন দেশে চার মিটার (১২ ফুট) পর্যন্ত সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল (আর্কাইভ লিংক)।
জাপান থেকে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইকুয়েডরসহ - এক ডজনেরও বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে দূরে অবস্থানের জন্য সতর্কতা জারি করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা কেটে যাওয়ায় তাদের আবার ফিরে আসতে বলা হয় (আর্কাইভ লিংক)।
ভূমিকম্প ও সুনামিতে রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চল প্রাণহানি ও বড় ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার পর রাশিয়াও সতর্কতা তুলে নেয় (আর্কাইভ লিংক)।
একই দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যত্র ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।
অসত্যভাবে ছড়ানো ক্লিপটির কিফ্রেম নিয়ে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় যে এটি ব্রিটিশ ভিডিও সংবাদ সংস্থা নিউজফ্লেয়ার-এর ইউটিউব চ্যানেলে ১০ মে ২০২১ তারিখের প্রকাশিত হয়েছিল (আর্কাইভ লিংক)।
ভিডিওটির শিরোনামে বলা হয়, "গ্রিনল্যান্ডে সুনামির আঘাতের সময় জেলেরা ভাগ্যক্রমে পালাতে সক্ষম হয়।"

নিউজফ্লেয়ারের মুখপাত্র টম সাইমস-ব্রাউন ৩০ জুলাই এএফপিকে বলেন, “ভিডিওটি আমাদের একজন কন্টেন্ট পার্টনার, লিসেট স্টুডিওস আমাদেরকে সরবরাহ করেছে" "আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, ভিডিওটি ১৭ জুন,২০১৭ তারিখে ধারণ করা হয়েছিল।”
লিসেট স্টুডিওস ৯ এপ্রিল ২০২১ তারিখে তাদের ইউটিউব চ্যানেলে “গ্রিনল্যান্ড সুনামি: জেলেরা তাদের জীবন বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে - ক্যামেরা ৩” শিরোনামে ভিডিওটি প্রকাশ করেছে (আর্কাইভ লিংক)।
২০১৭ সালে গ্রিনল্যান্ডের এই ভূমিকম্পের ফলে সুনামি সৃষ্টি হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ চারজনকে নিখোঁজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। ওই সময় কিছু বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল (আর্কাইভ লিংক)।
৩০ জুলাইয়ের ভূমিকম্পের সাথে সম্পৃক্ত আরও কিছু অপতথ্য খণ্ডন করেছে এএফপি।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ