২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তিব্বতে ভূমিকম্পের নয়, নেপালের পুরনো ভিডিও
- প্রকাশিত 21 জানুয়ারি 2025, 14:24
- 3 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
৭ জানুয়ারি ২০২৫ একটি ফেসবুক পোস্টে ভিডিওটি শেয়ার করে বলা হয়, "Tibet Earthquake: তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্প, এখনও পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর'।
২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে একটি ভূমিকম্পের সময় একটি ব্যস্ত গোলচত্বরের মাঝখানে একটি কাঠামো ধ্বসে পড়তে দেখা যায়।
৭ জানুয়ারি মাউন্ট এভারেস্ট থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে নেপালের সাথে চীনের সীমান্তবর্তী তিব্বতের ডিংরি কাউন্টিতে সকালে একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ১২৬জনের মৃত্যু এবং ১৮৮ জনের হতাহতের পর ভিডিওটি অনলাইনে ছড়ানো হয় (আর্কাইভ লিংক)।
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) বলেছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও প্রতিবেশি দেশ নেপাল এবং ভারতে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়।
ভিডিওটি বাংলা ভাষা ছাড়াও ইংরেজী, হিন্দি, থাই, তামিল এবং স্প্যানিশ ভাষায় ছড়ানো হয়েছে।
নেপালের পুরনো ভূমিকম্প
ভিডিওটির কীফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চে এএফপি একই ফুটেজ খুঁজে পায়, যা যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান সংবাদপত্র ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল প্রকাশ করেছিল(আর্কাইভ লিংক)।
ভিডিওটির শিরোনামে বলা হয়, "নেপালে ভূমিকম্পে ব্যস্ত চৌরাস্তার উপর একটি কাঠামো ধ্বসে পড়েছে--ভিডিও"। ভিডিওটি রাজধানী কাঠমন্ডুর ত্রিপুরেশ্বর জেলায় ধারণ করা হয়েছে বলে এর ক্যাপশনে বলা হয়।
নিচে অসত্য পোস্ট (বামে) এবং দ্য গার্ডিয়ানের শেয়ার করা ফুটেজের (ডানে) তুলনামূলক স্ত্রিনশট দেয়া হল:
ভিডিওটির ওপরের ডান কোণে "২০১৫-০৪-২৫" লিখা একটি সময় নির্দেশক দেখা যায়।
২০১৫ সালে নেপালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ৯ হাজারের মতো লোক নিহত এবং ২২ হাজারের বেশি লোক আহত হয়েছিল। এতে পাঁচ লাখের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
ভূমিকম্পে প্রায় ৮,০০০ স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করে দেয়, যার ফলে প্রায় দশ লাখ শিশু শ্রেণীকক্ষহীন হয়ে পড়ে।
পর্যটন খাতের জন্য এই বিরাট ধাক্কায় সারা বিশ্ব থেকে দর্শনার্থীদের আকর্ষণকারী কাঠমান্ডু উপত্যকার ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যসহ শত শত স্মৃতিস্তম্ভ এবং রাজপ্রাসাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ভিডিওটির কীফ্রেমের সাথে গুগল ম্যাপসে জিয়োট্যাগ করা কাঠমান্ডুর গোলচত্বরের একটি ছবির তুলনার মাধ্যমে এএফপি ভিডিওটির অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে (আর্কাইভ লিংক)।
নিচে অসত্যভাবে ছড়ানো ভিডিও (বামে) এবং গুগল ম্যাপসে জিয়োট্যাগ করা ছবির (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
একই ফুটেজ ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল ইউরো নিউজ তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করেছিল (আর্কাইভ লিংক)।
তিব্বতে ভূমিকম্পের পর সামাজিক মাধ্যম ছেয়ে যাওয়া বিভ্রান্তিকর ছবি খণ্ডণ করেছে এএফপি।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ