বাংলাদেশের বিমান দুর্ঘটনার এই ছবি এআই দিয়ে তৈরি

আকাশচুম্বী একটি ভবনে বিমান আঘাত হানার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি একটি ছবি ২০২৫ সালের ২১ জুলাই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৩৪ জন নিহত হওয়ার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার নয়। এএফপির ধারণ করা দুর্ঘটনাকবলিত স্থানের ছবিতে দেখা যায়, যুদ্ধবিমানটি একটি দোতালা স্কুল ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে।  

২১ জুলাই একটি ফেসবুক পোস্টে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে বলা হয়, “ঢাকার মাইলস্টোন কলেজে বিমান ক্র্যাশ করেছে। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন আমিন।”

ঢাকার বেসরকারি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের ছুটি শেষে স্কুল ত্যাগ করার মুহূর্তে একটি বাংলাদেশি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলে অন্তত ৩৪ জন নিহত এবং ১৭০ জনেরও বেশি আহত হন। যাদের বেশিরভাগই শিশু (আর্কাইভ লিংক)। 

Image
লাল ক্রস চিহ্নসহ ৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখে নেয়া অসত্য পোস্টের স্ক্রিনশট

একই অসত্য দাবিতে ফেসবুকে অন্যত্র ছবিটি  শেয়ার করা হয়। কিন্তু ছবিটি দুর্ঘটনার সঠিক চিত্র নয়।

এএফপির ধারণ করা দুর্ঘটনাস্থলে ছবিতে দেখা যায় যে, ক্ষতিগ্রস্ত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনটি ছিল একটি দোতালা অবকাঠামো, অসত্যভাবে ছড়ানো ছবিতে দেখানো উঁচু ভবন নয়।

Image
এএফপি ফটোগ্রাফারের তোলা দুর্ঘটনাস্থালের ছবি (AFP / Abdul Goni)

বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া ফরেনসিক ল্যাবের পরিচালক সিওয়েই লিউ ছবিটি বিশ্লেষণ করেছেন এবং এএফপিকে জানিয়েছেন যে ছবিটি, “এআই দিয়ে তৈরির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে”(আর্কাইভ লিংক)। 

লিউ ২৫ জুলাই ২০২৫ তারিখে এএফপিকে বলেন, “বিমানটির অবস্থান ভবনটি থেকে অনেক দূরে এবং অস্বাভাবিক। ভবনে আঘাত করার সময় এটি নিচের দিকে ঝুঁকে থাকার কথা অথবা বিমানটির নিজের ওজনের কারনেই নিচের দিকে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া উচিত।” 

“যেখানে আঘাত হানে তার নিচে ভবনে কোনও ক্ষতি বা ধ্বংসাবশেষ নেই, এবং জানালার গ্রিডেও অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। এগুলো এআই বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার স্পষ্ট লক্ষণ।”

Image
সিওয়েই লিউ এএফপি-কে দৃশ্যমান অসঙ্গতি হাইলাইট করে দেখান

যদিও জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি দ্রুত উন্নতি করছে, তবুও দৃশ্যমান কিছু অসঙ্গতি থেকে যাচ্ছে।  

এএফপি এর আগেও বিমান দুর্ঘটনার সাথে সম্পর্কিত এআই দিয়ে তৈরি অসত্যভাবে ছড়ানো অন্যান্য দাবি খণ্ডন করছে। 

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ