
বুরকিনা নেতার 'পশ্চিমা-বিরোধী বক্তব্য' কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিয়ে তৈরি
- প্রকাশিত 1 জুলাই 2025, 11:57
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: Rasheek MUJIB, এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
২৮মে ২০২৫ তারিখের একটি ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, "একবিংশ শতাব্দীর সেরা স্পিচ। এযাত্রায় ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরে জিতে গেলে শুধু বুরকিনা ফাসো নয় পুরো আফ্রিকা জিতে যাবে”।
ঊনিশ লাখের বেশি ভিউ হওয়া ভিডিওতে ট্রাওরেকে পশ্চিমা অপপ্রচার নিয়ে আক্রমণাত্মক বলতে, মিডিয়ার মিথ্যাচার উন্মোচন এবং আফ্রিকার জন্য একটি নতুন যুগের ঘোষণা দিতে দেখা যায়।
একাধিক গণমাধ্যম সংস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আপনারা আমাদের যে আফ্রিকা দেখিয়েছেন তা বাস্তব ছিল না। যে গল্পটি আমাদের বলেছিলেন তা মিথ্যা ছিল। আপনারা আমাদের উপর যে ভাগ্য চাপিয়ে দিয়েছেন তা আপনার বছরের পর বছর ধরে লেখা একটি স্ক্রিপ্ট ছিল,”।
“তোমরা মুক্ত সংবাদমাধ্যম নও, তোমরা কর্পোরেট সংবাদমাধ্যম, তোমাদেরকে চালায় কোটিপতিরা।”
ট্রাওরে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বুরকিনা ফাসো সাবেক ঔপনিবেশিক মোড়ল ফ্রান্স থেকে মুখ ফিরিয়ে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে (আর্কাইভ লিংক)।

ধারাবাহিকভাবে ভাইরাল হওয়া সামাজিক মাধ্যমের বিভ্রান্তিকর বা সম্পূর্ণ মিথ্যা পোস্টগুলোতে তাঁকে একজন নির্ভীক সংস্কারক হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যেখানে তিনি পশ্চিমা শক্তিকে অস্বীকার করে তাঁর দেশের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং কেনিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এআই দিয়ে বানানো ফুটেজটি ছড়ানো হয়।
অসত্যভাবে ছড়ানো ভিডিওটির কিফ্রেম নিয়ে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় যে, ফুটেজটি ইতোপূর্বে ২৫ মে ২০২৫ তারিখে একটি ইউটিউবে পোস্ট করা হয়েছিল, যেখানে ভিডিওটি "সম্পূর্ণ কাল্পনিক" বলে উল্লেখ রয়েছে (আর্কাইভ লিংক)।
প্ল্যাটফর্মটি ক্লিপটিকে "বিকৃত বা সিন্থেটিক কন্টেন্ট" হিসেবে চিহ্নিত করেছে, এবং চ্যানেলটি এর আগেও ট্রাওরের একাধিক এআই ক্লিপ প্রকাশ করেছে (আর্কাইভ লিংক)।
ভাইরাল ফুটেজটির বিশ্লেষণে কিছু দৃশ্যগত ত্রুটি পাওয়া যায়, যা মূলত এআই’র বৈশিষ্ট্য। ভিডিওটির ৬ঃ৩০ মিনিটে ট্রাওরের হাতের নখ অদৃশ্য হতে দেখা যায় এবং ১১ঃ৫৫ মিনিটে তাঁর হাত ঝাপসা হয়ে যেতে দেখা যায়।

যদিও জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি দ্রুত উন্নতি করছে। তবুও দৃশ্যমান কিছু অসঙ্গতি থেকে যাচ্ছে, যা অসত্য ছবি/ভিডিও সনাক্ত করার সর্বোত্তম উপায়।
ট্রাওরেকে নিয়ে আরও কিছু অপতথ্য খণ্ডন করেছে এএফপি এখানে এবং এখানে।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ