ভিডিওটি নেপালে ঔষধি ছত্রাক সংগ্রহের, 'ইরানের হামলার পর ইসরায়েলিদের পালানোর’ নয়

ইরানের ওপর ১৩ জুন ২০২৫ তারিখে ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইরান পাল্টা হামলা শুরু করলে দুই দেশের মধ্যে দশকের পর দশক ধরে চলা শত্রুতা একটি বৃহৎ সামরিক সংঘাতে পরিণত হয়। এ সময় ইরানের হুমকির পর ইসরায়েলের নাগরিকরা দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন বলে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়ানো হয়। তবে দাবটি অসত্য; ভিডিওটি নেপালের একটি পাহাড়ি এলাকায় দল বেঁধে ঔষধি ছত্রাক  সংগ্রহের।

২০ জুন ২০২৫ তারিখে ছড়ানো একটি ফেসবুক ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়, "যুদ্ধের শুরুতে যদি এভাবে পালিয়ে যায়, যুদ্ধ সামাল দিবে কে!"

ইসরায়েলের পতাকা জুড়ে দেয়া ভিডিওটিতে একটি পাহাড়ি উপত্যকায় শত শত মানুষকে দৌড়াতে দেখা যায়।

Image
২৫ জুন ২০২৫ তারিখে নেয়া অসত্য পোস্টের স্ক্রিনশট

একই ধরনের পোস্টে ভিডিওটি ফেসবুকে অন্যত্র এখানে ও এখানে ছড়ানো হয়েছে। 

কয়েক দশকের তিক্ত সম্পর্ক এবং দীর্ঘ ছায়া যুদ্ধের পর ১৩ জুন ২০২৫ তারিখে ইরানে ব্যাপক বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে জবাব দেয় ইরান।

এএফপির রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৯ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত উভয় দেশে ২০০ জনেরও বেশি ইরানি এবং ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। পাশাপাশি শত শত লোক আহত হয়েছেন (আর্কাইভ লিংক)।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সূত্রমতে, ইরানি বাহিনী ১৫ জুন ২০২৫ তারিখে ক্রমবর্ধমান রকেট হামলার মুখে ইসরায়েলিদের তাদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছিল (আর্কাইভ লিংক)।

কিন্তু অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ইসরায়েলিদের পালিয়ে যাওয়ার নয়। 

অসত্যভাবে ছড়ানো ভিডিওটির কিফ্রেম ব্যবহার করে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায়,  ভিডিওটি মূলত ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহ  আগে ২ জুন ২০২৫ তারিখে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট  করা হয়েছিল (আর্কাইভ লিংক)। 

Image
অসত্যভাবে ছড়ানো ভিডিও(বামে) এবং ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত ভিডিওর তুলনামূলক স্ক্রিনশট

ভিডিওটিতে বলা হয়,  পশ্চিম নেপালের মাউন্ট ডোলপা-র আশেপাশে ইয়ারসাগুম্বা নামে পরিচিত একটি ঔষধি ছত্রাকের সন্ধানে মানুষের ভিড়।

ইয়ারসাগুম্বা নামক একটি বিরল এবং অত্যন্ত মূল্যবান ঔষধি ছত্রাক সংগ্রহ করতে লোকজন প্রতি বছর নেপালের দোলপার উচ্চভূমিতে ভিড় করেন (আর্কাইভ লিংক)। 

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ