বাংলাদেশ 'ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ' করেছে এমন অসত্য প্রতিবেদন ঘিরে উত্তেজনা
- প্রকাশিত 28 জানুয়ারি 2025, 12:44
- 1 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: Eyamin SAJID, এএফপি বাংলাদেশ
- অনুবাদ এবং অভিযোজন Eyamin SAJID
গত ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ভারতীয় নিউজ চ্যানেল রিপাবলিক বাংলা নিজের ৩২ লাখ ফলোয়ারের উদ্দেশ্যে একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, "বাংলাদেশে বন্ধ হল ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল! ভারতীয় মিডিয়ায় কেন আপত্তি ইউনূসের"।
২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া শেখ হাসিনার কঠোর শাসনের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিরুদ্ধে সোচ্চার সমালোচনা করছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতা মুহাম্মদ ইউনূস (আর্কাইভ লিংক)।
উৎখাতের পর নয়া দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা, যার সরকার ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত।
ফেসবুক পোস্টে রিপাবলিক বাংলার একটি নিউজ বুলেটিন শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, 'বাংলাদেশে বন্ধ সব ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল'।
স্ক্রিনের একটি নিউজ টিকারে বলা হয়, "আজ থেকে বন্ধ করা হল সম্প্রচার। ভারত বিদ্বেষের আরও এক নজির বাংলাদেশে"।
অসত্য তথ্য এবং বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার অভিযোগে রিপাবলিক বাংলা নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত নভেম্বরে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন বাংলাদেশের আইনজীবী (আর্কাইভ লিংক)।
পরে অন্য একটি রিট আবেদনে বাংলাদেশে ভারতের সব টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করার দাবি জানানো হয় (আর্কাইভ লিংক)।
তবে ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত আলাদত কোন রিট আবেদনের ওপর আদেশ দেয়নি।
যারা নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর হয়েছে বলে বিশ্বাস করেছেন, রিপাবলিক বাংলার প্রতিবেদনটি সেসব জনগণের মধ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্যের ঝড় তুলেছে।
একজন ফেসবুক পোস্টে লিখেন, "বাংলাদেশ সভ্য মানুষের শান্তিপূর্ণ দেশ, ভারতীয় চ্যানেল এখানে চলতে পারে না। আমি ড ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাই। আল্লাহ তার উপর সদয় হউন।"
অন্য একজন লিখনে, "ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করা হউক"।
২৭ জানুয়ারি এএফপির ঢাকা ব্যুরো অফিসের সাংবাদিকরা রিপাবলিক বাংলাসহ ভারতীয় টিভি চ্যানেল দেখতে পেয়েছেন।
বাংলাদেশে বিদেশী স্যাটেলাইট চ্যানেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংগঠন ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সভাপতি ২৩ জানুয়ারি জানিয়েছেন যে, ভারতীয় চ্যানেলের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না।
এবিএম সাইফুল হোসেন সোহেল এএফপিকে বলেন, "এখানে ভারতের সব চ্যানেল চালু রয়েছে। যে সংবাদটি ছড়ানো হয়েছে তা পুরোপুরি অসত্য"।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের একজন মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহম্মদ ফয়েজ ২৬ জানুয়ারি এএফপিকে জানিয়েছেন যে সরকার এমন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ