মেসির পুরনো ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে প্রচার
- প্রকাশিত 13 নভেম্বর 2023, 14:58
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ২১ অক্টোবর ফেসবুকে এখানে আপলোড করা এক পোস্টে বলা হয়েছে, "ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে এবার লিওনেল মেসি- এমন একটি ফেসবুক পোস্ট আমারা সবাই আশা করি।"
২১ হাজারের বেশি লাইক এবং ২,৪০০ বেশি কমেন্ট পাওয়া ছবিটিতে আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা লিওনেল মেসিকে ফিলিস্তিনের একটি পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
একই দাবি সহকারে ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন ফুটবল টিমের অধিনায়ক এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ক্লাব ইন্টার মিয়ামি খেলোয়ার মেসির ছবিটি ফেসবুকে এখানে এবং এখানে ছড়ানো হয়।
বাংলার ভাষার পাশাপাশি ছবিটি পর্তুগিজ এবং স্প্যানিশ ভাষায়ও ছড়িয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর নিজ দেশের দক্ষিণ সীমান্তে হামাস মিলিট্যান্টদের নজিরবিহীন হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিরতিহীন বোমা হামলা এবং স্থল অভিযানের মধ্যে ছবিটি সামাজিম মাধ্যমে ছড়াতে শুরু করে।
হামাসের আকস্মিক হামলাকে গত ৭৫ বছরেরর ইতিহাসে ভয়ঙ্কর হামলা মন্তব্য করে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেb, এতে দেশটির ১,৪০০ এর বেশি লোক নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া আরো ২৩০ জনকে জিম্মী হিসেবে আটক করে হামাস।
হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে বিরতিহীন বোমা হামলা শুরু করে। এই হামলায় গত ২ নভেম্বর পর্যন্ত ৯,০০০ হাজার বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি।
ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকারা গাজায় যুদ্ধ ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে মেসির ছবিটি দেখেও মনে হচ্ছে যেন তার ইনিস্টাগ্রাম ও ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট।
কিন্তু ছবিগুলো তার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে নেই। বরং গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায়, স্পোর্টস স্মারক ব্রান্ড আইকনসডটকম-এর সাথে মেসির সাইনিং পার্টনারশিপের ছবি থেকে এটি বিকৃত করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের পতাকার সঙ্গে মেসির এই ধরনের ছবি আগেও বিভ্রান্তিকর দাবিতে ছড়ানো হয়েছিল, যা ২০২১ সালের ১১ মে তার ইনিস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি ছবি থেকে ম্যানিপুলেট করা হয় (আর্কাইভ লিংক)।
অন্যান্য ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা এই বিভ্রান্তিকর দাবি তখন খণ্ড করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ সাথে সম্পৃক্ত করে মেসিকে নিয়ে যেসব বিভ্রান্তিকর তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে তেমন কিছু ১২ নভেম্বর পর্যন্ত মেসি পোস্ট করেছেন বলে কোনো প্রমাণ পায়নি এএফপি।
নিচে অসত্য দাবিতে ছড়ানো পোস্টে ব্যবহৃত ছবি (বামে) এবং মেসির ইনিস্টাগ্রামে আপলোড করা ছবির (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত সম্পর্কিত বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য নিয়ে এএফপির আরও কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ