মুসলমানদের নামাজ আদায়ের এই ভিডিওটি রাশিয়ার একটি স্টেডিয়ামের, কাতার বিশ্বকাপের নয়

  • নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
  • প্রকাশিত 24 নভেম্বর 2022, 12:54
  • 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
  • লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
ফেসুবকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে এটি কাতার বিশ্বকাপের একটি স্টেডিয়ামে নামাজ আদায়ের দৃশ্য। দাবিটি অসত্য; মূলত ভিডিওটি ২০১৯ সাল থেকে অনলাইনে পাওয়া যায় এবং রাশিয়ার কাজান স্টেডিয়ামে ইফতার শেষে নামাজের একটি দৃশ্য।

ভিডিওটি গত ২১ নভেম্বর ফেসবুকে এখানে শেয়ার করা হয়।

পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে: “পুরো ইতিহাস বদলে দিল কাতার, স্টেডিয়ামে খেলা শেষে জামাতে নামাজ পড়ার কিছু অংশ,, আলহামদুলিল্লাহ।”

Image
( Mohammad MAZED)

ভিডিওটিতে বেশকিছু মানুষকে একসাথে নামাজ আদায় করতে দেখা যায়।

প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করা প্রথম আরব দেশ হলো কাতার। তবে কাতারে প্রবাসী শ্রমিকদের মৃত্যু ও পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে নারী অধিকার ও সমকামীদের অধিকার ইত্যাদি মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য দেশটি বিশ্বব্যাপী আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।

ভিডিওটি একইরকম দাবি সহকারে ফেসবুকে এখানে এখানে শেয়ার করা হয়।

তবে দাবিটি অসত্য।

রাশিয়ার স্টেডিয়ামে নামাজ

রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় এই ভিডিওটি ২০১৯ সালের ১৬ জুন ইউটিউবে এখানে প্রকাশিত হয়।

ভিডিওটির ইংরেজি ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “তাতারস্তানের কাজান স্টেডিয়ামে নামাজ (২৫ মে, ২০১৯)।”

ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমেও এখানে এখানে ২০১৯ সালের জুন মাসে শেয়ার করা হয়।

নীচে বিভ্রান্তিকর পোস্টের ভিডিও (বামে) ও ২০১৯ সালে প্রকাশিত ভিডিওর (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:

Image

ভিডিওর ফুটেজের সাথে রাশিয়ার তাতারস্তানের রাজধানী কাজানে অবস্থিত একে বারস এরিনার মিল পাওয়া যায়।

২০১৯ সালের ২৫ মে তারিখের তাতারস্তান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক বিবৃতি অনুযায়ী ভিডিওটিতে রমজান মাসে ইফতার পরবর্তী নামাজের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট রুস্তম মিনিখানভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “আল্লাহর কাছে আমাদের চাওয়া হলো রাশিয়ায় শান্তি ও সম্প্রীতি এবং আমাদের প্রজাতন্ত্রের শক্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।”

বিবৃতিটির সাথে বিভ্রান্তিকর পোস্টের সাথে মিল আছে এরকম একটি ভিডিও সংযুক্ত আছে।

একে বারস এরিনা থেকেও সেসময় এই অনুষ্ঠানের ছবি স্টেডিয়ামটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।

নীচে বিভ্রান্তিকর পোস্টের ভিডিও (বামে) ও প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রকাশিত ভিডিওর (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:

Image

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ