
যুক্তরাজ্যের অগ্নিকাণ্ডের ভিডিওকে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সাথে অসত্যভাবে সম্পৃক্ত করে প্রচার
- প্রকাশিত 10 জুলাই 2025, 13:49
- 3 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
- অনুবাদ এবং অভিযোজন Rasheek MUJIB
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
২২ জুন ২০২৫ তারিখে ছড়ানো একটি ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। বিশাল বিস্ফোরণ তেল-আবিব এ আজকে”।
পোস্টে যুক্ত একটি ক্লিপে অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের একটি ভবনের আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাতে দেখা যায়।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলের বেন গুরিওন বিমানবন্দর, লজিস্টিক ঘাঁটি এবং বিভিন্ন স্তরের কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রসহ একাধিক স্থাপনায় হামলা চালানোর আগে ২১ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানের পারমানবিক স্থাপনায় আমেরিকার হামলাগুলো "অত্যন্ত সফল আক্রমণ" ছিল। (আর্কাইভ লিংক)।
মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক অবকাঠামো কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান (আর্কাইভ লিংক)।
এ দিকে ইরান ও ইসরায়েল “সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে” সম্মত হয়েছে বলে ২৪ জুন ২০২৫ তারিখে ঘোষণা দেন ট্রাম্প(আর্কাইভ লিংক)।
১২ দিন ধরে চলা যুদ্ধে নিজ দেশের ৬১০ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ইসরায়েলে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (আর্কাইভ লিংক)।
অসত্য দাবিতে ভিডিওটি অন্যত্র ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে।
কিন্তু ভিডিওটি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এর আগে একই ভিডিও ব্যবহার করে ছড়ানো ভিন্ন একটি অসত্য দাবি খণ্ডন করেছে এএফপি।
গুগলে রিভার্স ইমেজ এবং কিওয়ার্ড সার্চে ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, “ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ারের কভেন্ট্রিতে অব্যবহৃত হেনলি কলেজ ভবনে ভয়াবহ আগুন” (আর্কাইভ লিংক)।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং দ্য সানও কভেন্ট্রির অব্যবহৃত প্রাক্তন স্কুল ভবনটির আগুন লাগার দৃশ্য প্রকাশ করেছে (আর্কাইভ লিংক এখানে এবং এখানে)।
আগুনে কোনও আহত বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে একই দিন একটি বিবৃতি জারি করে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস ফায়ার সার্ভিস (আর্কাইভ লিংক)।
অগ্নিকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে দুই কিশোর ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক দিন পর ঘোষণা দেন ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ (আর্কাইভ লিংক)।
গুগল স্ট্রিট ভিউ-এর ছবিতে দেখা যায় যে অসত্য ভিডিওটিতে দেখানো লাল রঙের কলেজ ভবনটি ইংল্যান্ডের কভেন্ট্রিতে অবস্থিত, ইসরায়েলে নয় (আর্কাইভ লিংক)।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে ছড়ানো অন্যান্য অপতথ্য খণ্ডন করে এএফপি প্রতিবেদন করেছে এখানে।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ