আজানের জন্য খেলা বন্ধ হওয়ার এই ভিডিওটি সৌদিতে ২০১৮ সালে তোলা, কাতার বিশ্বকাপের নয়

কপিরাইট এএফপি ২০১৭-২০২3। সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত।

ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে এটি কাতার বিশ্বকাপে আজানের সাথে সাথে খেলা বন্ধ হওয়ার একটি দৃশ্য। দাবিটি অসত্য; মূলত এটি ২০১৮ সালে সৌদি আরবে আল ফেইহা ও আল ফাতেহ ফুটবল ক্লাবের মধ্যকার একটি ম্যাচের দৃশ্য।

ভিডিওটি গত ২৪ নভেম্বর ফেসুবকে এখানে শেয়ার করা হয়।

৩ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায়, মুসলমানদের নামাজের আহবান তথা আজানের শব্দ শোনার সাথে সাথে একটি ফুটবল ম্যাচের খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর আজান শেষ হলে রেফারি পুনায় খেলা শুরু করেন।

পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “কাতার সহ সারা পৃথিবীতে যদি এমন নিয়ম গুলো চালু হইতো। মন জোড়ানো একটি দৃশ্য। আযানের সাথে সাথেই খেলা সাময়িক বন্ধ।”

( Mohammad MAZED)

গত ২০ নভেম্বর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশ কাতারে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর অনলাইনে এই ভিডিওসহ দাবিটি ছড়ানো হয়।

ভিডিওটি ফেসবুকে এখানে বাংলায় ও এখানে হিন্দীতে একইরকম দাবিসহকারে শেয়ার করা হয়।

তবে দাবিটি অসত্য।

ম্যাচটি সৌদি আরব কাপ এর

গুগল কিওয়ার্ড সার্চে দেখা যায় ভিডিও ক্লিপটি ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি ব্রিটিশ স্পোর্টস ওয়েবসাইট দ্য স্পোর্টসম্যান এর একটি টুইটে পোস্ট করা হয়।

টুইটটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “মার্ক ক্ল্যাটেনবার্গের প্রতি সম্মান! সৌদি আরব কাপের একটি ম্যাচ চলাকালীন ৯৫ মিনিটের সময় স্পিকারে আজানের সুর ভেসে আসলে তিনি খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখেন।”

২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি হংকং মুসলিম কাউন্সিলের একটি প্রতিবেদনেও দ্য স্পোর্টসম্যানের টুইটটি এমবেড করা হয়।

প্রতিবেদনটি অনুসারে, সৌদি কিংস কাপের একটি ম্যাচে আল ফেইহা ও আল ফাতেহ ক্লাবের মধ্যকার খেলার সময় পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে আজানের সুর ভেসে আসলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সাবেক রেফারি ক্ল্যাটেনবার্গ দুই মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ রাখেন।

নীচে বিভ্রান্তিকর পোস্টের ভিডিও (বামে) ও ২০১৮ সালের ভিডিওর (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:

ক্ল্যাটেনবার্গের এই সিদ্ধান্ত আল জাজিরাবিবিসিতেও প্রকাশিত হয়।

বিশ্বকাপ ২০২২