![](/sites/default/files/medias/factchecking/g2/2024-05/41f614e881d3d88253f9f5224b00d0bdf08d9227.jpeg)
চীনের একটি সেতুর ছবিকে 'মুম্বাইয়ের হাইওয়ের' ছবি বলে অসত্যভাবে প্রচার
- প্রকাশিত 20 মে 2024, 15:48
- 3 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ৫ মে ফেসবুকে একটি সেতুর ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে বলা হয়েছে: "এটা বিদেশ নয়, মুম্বাই এর হাইওয়ে...এবার বলুন, কেন ৪০০ পার হবে না...।" ছবিটি ১০ হাজার বারের বেশি লাইক এবং ৮২৬ বারের বেশি শেয়ার হয়েছে।
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2024-05/2fe756fc1599eea7586b2130804f960d7322b953.jpeg?itok=sD46Ek_n)
ছবির ক্যাপশনে ভারতের আইনসভার নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপি ৪০০ আসনে জেতার যে, লক্ষ্য নিয়েছে তার একটি সূত্র পাওয়া যায়। বৃহৎ অবকাঠামোর প্রকল্প বিজেপি এবং তার মিত্রদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচনে জয় পেতে সাহায্য করবে বলে ছবিটি পোস্টকারীরা মনে করেছেন বলে বুঝা যাচ্ছে (আর্কাইভ লিংক)।
গত ১৯ এপ্রিল প্রায় ১০০ কোটি ভারতীয় নাগরিক ছয় সপ্তাহব্যাপী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়া শুরু করেছেন। ভারতের এই নির্বাচনকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক চর্চা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
দুর্বল প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে কোনঠাসা করে ফেলার কারণে হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার জয়ের ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত।
একই দাবিতে ছবিটি ফেসবুকে এখানে ও এখানে এবং হিন্দি ভাষায় এখানে শেয়ার করা হয়েছে।
জিয়াওঝো বে ব্রিজ
গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ এবং টিকটকের চীনা ভার্সন দোইন-এ কিওয়ার্ড সার্চে ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট একজন চিত্রগ্রাহকের আপলোড করা একটি ড্রোন ফুটেজ পাওয়া যায়, যা অসত্য দাবির পোস্টের ছবিটির অনুরূপ।
ফুটেজটির চাইনিজ ক্যাপশনের সরল অনুবাদে বলা হয়, "এটাই জিয়াওঝো বে ব্রিজ।"
নিচে অসত্য দাবির পোস্টের (বামে) এবং দোইনের ভিডিওটির আট সেকেন্ডের দৃশ্যের (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2024-05/7d050a7e7805af5fac45a91f0d25b149aa3a8e2c.jpeg?itok=4xPjN-Sv)
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শানডং প্রদেশের ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ জিয়াওঝো বে ব্রিজটি বন্দর নগরি কিংদাওকে শিল্প নগরী হুয়াংদাওর সাথে সংযুক্ত করেছে (আর্কাইভ লিংক)।
২০১১ সালের জুনে ব্রিজটি যখন যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয়, তখন পর্যন্ত এটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু ছিল (আর্কাইভ লিংক)।
আরো কিওয়ার্ড সার্চে এএফপি'র আর্কাইভে ২০১১ সালের জুনে চীনের ফটো এজেন্সি ইমাজিনচায়নার বরাতে প্রকাশিত জিয়াওঝো বে ব্রিজের একই ধরনের একটি ছবি পাওয়া যায় (আর্কাইভ লিংক)।
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2024-05/ec30912094086925a86839573dfc092674e5d2ea.jpeg?itok=jQGskrFt)
ছবির কাছাকাছি চারটি তোরণের অবস্থান বাইডু ম্যাপের স্ট্রিট ভিউতে সেতুর ইমেজারি এখানে দেখা যাবে। এছাড়া দৃশ্যপটের পেছনের দিকের টাওয়ারটি এখানে দেখা যাবে (আর্কাইভ লিংক এখানে ও এখানে)।
নিচে দোইনে সেতুর ভিডিও (বামে) এবং বাইডু ম্যাপের স্ট্রিট ভিউ ইমেজেরির (মাঝ এবং ডানে) যেসব মিল রয়েছে তা হাইলাইট করে তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2024-05/86fd2ed10e40520710a662b2c805b4312b0df286.jpeg?itok=vSlfHLki)
মুম্বাইয়েও ২০০৯ সালে নির্মিত একটি সী লিংক সেতু রয়েছে, যার গঠন এবং তোরণের আকার অসত্য দাবির পোস্টের ছবিতে দৃশ্যমান তোরনের চেয়ে ভিন্ন (আর্কাইভ লিংক)।
ভারতের সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে ছড়ানো বিভ্রাস্তিকর তথ্য খণ্ডন করে এএফপি আরো কিছু প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ