
ভারতে হিজাব বিতর্কের প্রেক্ষিতে এক নারীর ছবি ফেসবুকে বিভ্রান্তিকরভাবে প্রচার
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 2 মার্চ 2022, 09:02
- আপডেট করা হয়েছে 2 মার্চ 2022, 09:16
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি ইন্ডিয়া, এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ছবি দু'টি একটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশটসহ গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে এখানে শেয়ার করা হয়।

পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “ভারতীয় মুসকানদের নেপথ্যে রয়েছে মৌলবাদী গোড়া ধর্মীয় শক্তি, যা একসময় ভারতবর্ষ কে তিন টুকরো করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সৃষ্টি করেছিল।”
স্ক্রিনশটটির পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “ভারতের মুসকান। অন্য সময়ে স্কার্ট, জিন্স পরিধান করে। শুধু কলেজেই বোরখা পরে যায়। এইগুলান যে কোন লেভেলের ধর্মীয় বদমাশ সেটা চিন্তারও বাইরে। মাঝখানে ধর্মীয় জজবা চ্যাতায়ে দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির লাভ করে দিলো।”
সম্প্রতি ভারতের কর্ণাটকে হিজাব পরে কলেজে আসার কারণে হিন্দু কয়েকজন যুবক কর্তৃক এক মুসলমান ছাত্রীকে হেনস্তা করার একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে এই ছাত্রীর নাম মুসকান খান বলে জানা যায় এবং তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও দ্য ওয়্যার-এ সাক্ষাতকার দেন।
কর্ণাটকের একটি স্কুলে হিজাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়লে ভারতের বিভিন্ন শহরে ধর্মীয় উত্তেজনা দেখা দেয়।
ছবিটি একইরকম দাবি সহকারে ফেসবুকে এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়।
দাবিটি অসত্য।
হিজাব ব্যতীত নারীর ছবি দু'টি মুসকান খানের নয়।
প্রথম ছবি
রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় ছবিটি ২০১৮ সালের ১৩ মে নাজমা নাজির নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা হয়।
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ছবি (বামে) ও নাজমার ফেসবুক প্রোফাইলের ছবির (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:

দ্বিতীয় ছবি
অপর ছবিটি ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর নাজমা তার প্রোফাইল থেকে পোস্ট করেন।
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ছবি (বামে) ও নাজমার ফেসবুক প্রোফাইলের ছবির (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:

নাজমা নাজির নিজেকে একজন সমাজকর্মী বলে পরিচয় দেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি ২০২০ সালে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ‘জনতা দলে’ যোগদান করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তার ছবিটি হিজাব বিতর্কের প্রেক্ষিতে অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিনি এএপফি’কে জানান।
তিনি বলেন, “তারা আমার ছবি শেয়ার করছে কারণ আমি সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে কাজ করি এবং এজন্য তারা আমার বিরুদ্ধে।”
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ