ভিডিওটি ভারতে হিজাব বিতর্কে প্রতিবাদের সময় মুসলমান নারীদের গ্রেফতারের নয়

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে ভিডিওটিতে ভারতের কর্ণাটকে সাম্প্রতিক হিজাব বিতর্কের সময় চলমান প্রতিবাদের সময় ভারতীয় পুলিশ কর্তৃক মুসলমান নারীদের গ্রেফতারের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। দাবিটি অসত্য; যদিও পুলিশ হিজাবের পক্ষে প্রতিবাদ করার সময় কিছু আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করেছে তবে এই ক্লিপটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কর্ণাটকে শিক্ষানীতি পরিবর্তনের প্রতিবাদের আন্দোলনের খবরের সাথে সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায়। 

গত ৯ ফেব্রুয়ারী শেয়ার করা একটি পোস্টের ক্যাপশনে অংশবিশেষে লেখা রয়েছে, “ভারতে কি শুরু হল। আন্দোলনরত হিজাবী মেয়েদেরকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় পুলিশ।”

Image
( Mohammad MAZED)

ভিডিও ক্লিপটিতে পুলিশ কর্তৃক হিজাব পরিহিত কিছু নারীসহ কয়েকজনকে রাস্তা থেকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

বিগত ২০২১ সালের শেষের দিকে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে চার স্কুলছাত্রীকে হিজাব পরতে বাঁধা দেওয়ার প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হয় যা সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। 

উত্তেজনা প্রশমনে রাজ্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে এবং পরবর্তীতে ১৬ ফেব্রুয়ারীতে পুনরায় খুলে দেয়া হয়।

ক্লিপটি একই রকম দাবি সহকারে ফেসবুকে এখানে এখানে শেয়ার করা হয়। 

যদিও দিল্লিসহ কিছু শহরে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে তবে এই ভিডিও ক্লিপটি অসত্য দাবি সহকারে ছড়ানো হয়।

রিভার্স ইমেজ সার্চে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটির অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ একটি ভার্সন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটিতে সংবাদ উপস্থাপিকাকে বলতে শোনা যায়, “ব্যাঙ্গালোরের ছাত্রদের সংগঠন ক্যাম্পাস ফ্রন্ট জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।”

“পুলিশ জানায় ছাত্ররা ব্যারিকেড ভাঙ্গলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।”

নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) ও  'ইন্ডিয়া টুডে'র ভিডিওটির (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:

 

Image

কর্ণাটক ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘সাহিল অনলাইন’ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঘটনাটির সংবাদ প্রকাশ করে। ভিডিওটির ২ মিনিট থেকে একই রকম দৃশ্য দেখা যায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুদ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসেও সেসময় নতুন শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে ব্যাঙ্গালোরে ক্যাম্পাস ফ্রন্ট নামক সংগঠনের সদস্যদের প্রতিবাদের খবর প্রকাশিত হয়।

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ