ভিডিওটি ভারতে হিজাব বিতর্কে প্রতিবাদের সময় মুসলমান নারীদের গ্রেফতারের নয়
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 1 মার্চ 2022, 05:53
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ, AFP পাকিস্তান
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ৯ ফেব্রুয়ারী শেয়ার করা একটি পোস্টের ক্যাপশনে অংশবিশেষে লেখা রয়েছে, “ভারতে কি শুরু হল। আন্দোলনরত হিজাবী মেয়েদেরকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় পুলিশ।”
ভিডিও ক্লিপটিতে পুলিশ কর্তৃক হিজাব পরিহিত কিছু নারীসহ কয়েকজনকে রাস্তা থেকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
বিগত ২০২১ সালের শেষের দিকে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে চার স্কুলছাত্রীকে হিজাব পরতে বাঁধা দেওয়ার প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হয় যা সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তেজনা প্রশমনে রাজ্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে এবং পরবর্তীতে ১৬ ফেব্রুয়ারীতে পুনরায় খুলে দেয়া হয়।
ক্লিপটি একই রকম দাবি সহকারে ফেসবুকে এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়।
যদিও দিল্লিসহ কিছু শহরে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে তবে এই ভিডিও ক্লিপটি অসত্য দাবি সহকারে ছড়ানো হয়।
রিভার্স ইমেজ সার্চে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটির অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ একটি ভার্সন পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটিতে সংবাদ উপস্থাপিকাকে বলতে শোনা যায়, “ব্যাঙ্গালোরের ছাত্রদের সংগঠন ক্যাম্পাস ফ্রন্ট জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।”
“পুলিশ জানায় ছাত্ররা ব্যারিকেড ভাঙ্গলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।”
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) ও 'ইন্ডিয়া টুডে'র ভিডিওটির (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:
কর্ণাটক ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘সাহিল অনলাইন’ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঘটনাটির সংবাদ প্রকাশ করে। ভিডিওটির ২ মিনিট থেকে একই রকম দৃশ্য দেখা যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু ও দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসেও সেসময় নতুন শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে ব্যাঙ্গালোরে ক্যাম্পাস ফ্রন্ট নামক সংগঠনের সদস্যদের প্রতিবাদের খবর প্রকাশিত হয়।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ