
পাকিস্তানে পারিবারিক সহিংসতার ভিডিওকে হিন্দু নারীকে অপহরণের ঘটনা বলে প্রচার
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 30 জানুয়ারি 2022, 15:37
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি ইন্ডিয়া, এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ভিডিওটি গত ১৩ জানুয়ারী ফেসবুকে এখানে শেয়ার করা হয়।

পোস্টটির বাংলা ক্যাপশনের অংশবিশেষে লেখা রয়েছে, “পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ঘটনা। মাত্র ১৯ বছরের একটি হিন্দু মেয়েকে ঘর থেকে ওর মা-বাবার সামনে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে সেখানকার মুসলিমরা।প্রকাশ্যে দিনের আলোয় কিভাবে এই নৃশংসতা চালানো হচ্ছে দেখুন ভিডিও টিতে।সেদেশের মানুষ বা আইন কেউই কি ছিলো না, অসহায় হিন্দু মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসতে?”
ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশেরই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এর আগে অবশ্য বিভিন্ন জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের ঘটনার খবর এসেছে। দেখুন এখানে ও এখানে।
ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির সদস্য মানজিনদার সিং গত ২১ ডিসেম্বর একইরকম দাবি সহকারে ভিডিও ক্লিপটি টুইট করার পর ক্লিপটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর দাবি সহকারে শেয়ার করা হয়েছে।
বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য যোগাযোগ করা হলে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ঘটনাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আতা মোহাম্মদ এএফপিকে জানান, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ভিকটিম ও অভিযুক্ত সকলেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
তিনি বলেন, “পরিবারের সদস্যরা একে অপরের বিরুদ্ধে কলহে জড়ান। এদের মধ্যে একজন কারাগারে আছেন এবং চারজন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।”
ডিভোর্সের ঘটনা
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে এই ভিডিওটিতে ডিভোর্সের আবেদনকারী এক নারীকে দেখা যাচ্ছে।
কীওয়ার্ড সার্চে দেখা যায় ভিডিওটি ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর পাকিস্তানের উর্দুভাষী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজে প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল, “ডিভোর্সের আবেদন করায় উমরকোটে জনসম্মুখে নারীর উপর আক্রমণ।”
সংবাদ উপস্থাপকের ভাষ্য অনুযায়ী, “উমরকোটে এক নারীকে প্রকাশ্যে চুল ধরে টেনে নেয়া হয়। অপরাধীরা সেই নারীর চুল ধরে টেনে একটি গাড়িতে তুলে পালিয়ে যায়।”
“পুলিশের ভাষ্যমতে, এই নারী স্থানীয় আদালতে ডিভোর্সের আবেদন করতে এসেছিলেন। পুলিশ সেই নারীকে মুক্ত করেছে এবং সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে।”
উমরকোট পাকিস্তানের হিন্দু অধ্যুষিত একটি জেলা।
প্রতিবেদনটিতে এক মুসলমানকে বিয়ে করার জন্য জোরাজুরি করা হয়েছে মর্মে কোন তথ্য নেই।
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) এবং জিও নিউজের প্রকাশিত ভিডিওর (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো-

২১ ডিসেম্বর ঘটনাটি নিয়ে পাকিস্তানের ‘ডন’ পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ