স্ফটিকের শিল্পকর্মকে সমুদ্রের তলদেশে পাওয়া কোরআনের ছবি বলে বিভ্রান্তি

  • নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
  • প্রকাশিত 4 জুলাই 2021, 08:03
  • আপডেট করা হয়েছে 4 জুলাই 2021, 08:03
  • 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
  • লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে এটি সমুদ্রের তলদেশে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া কোরআনের ছবি। দাবিটি অসত্য; ছবিটি কোন ধর্মগ্রন্থের নয়, বরং মার্কিন শিল্পী ক্যাথরিন ম্যাকএভার (Catherine McEver) এর স্ফটিকের শিল্পকর্মের একটি ছবি। ২০১৪ সালে তিনি তার ব্লগে ব্যাখ্যা করেছেন যে কিভাবে তিনি একটি অভিধানের বইয়ের উপর পরিস্কারক দ্রব্য দিয়ে এই স্ফটিকের আবরণ দিয়েছেন। 

গত ২৯ জুন ফেসবুকে এখানে ছবিটি পোস্ট করে দাবি করা হয় যে ছবিটি সমুদ্রের তলদেশে পাওয়া কোরআনের। 

Image

পোস্টটির ছবির সাথে যুক্ত করে লেখা আছে: ''সমুদ্র তলদেশ থেকে তোলা অক্ষত অবস্থায় কোরআন শরীফ-আল্লাহু আকবার''।

আরেকটি পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে: ''সুমদ্র তলদেশ থেকে তোলা অক্ষত অবস্থায়
কুরআন শরীফ এখনো সেই রকম আছে,, সুবাহান-আল্লাহ,!!''

একই দাবিসহ ছবিটি ফেসবুকে এখানে, এখানে এবং এখানেও পোস্ট করা হয়।

দাবিটি অসত্য।

গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায়, এই বইটি কোরআন নয়, এবং তা সমুদ্রের তলদেশেও পাওয়া যায়নি। 

গুগল সার্চে ছবিটি 'স্টাফ ইউ ক্যান্ট হ্যাভ' (Stuff You Can’t Have) নামে একটি ব্লগে পাওয়া যায় যা পরিচালনা করেন ক্যাথরিন ম্যাকএভার নামের একজন মার্কিন শিল্পী। 

২০১৪ সালের ১৮ মে'তে এই ব্লগের একটি পোস্টে ক্যাথরিন ব্যাখ্যা করেছেন যে কিভাবে তিনি পরিস্কারক দ্রব্য বোরাক্স দিয়ে একটি বইয়ের উপর ক্রিস্টাল তথা স্ফটিকের প্রলেপ দিয়েছেন। 

ব্লগটিতে দেয়া ছবিটির একটি ক্যাপশন অনুযায়ী এই বইটি একটি জার্মার-ইংরেজি ভাষার অভিধান। 

Image

ব্লগ পোস্টটিতে শিল্পকর্মটির আরো ছবি আছে।  

Image
Image

এই ছবিটি ২০১৯ সালে কেনিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও সামাজিক মাধ্যমে ছবিটিকে সমুদ্রের তলদেশে পাওয়া অক্ষত বাইবেলের ছবি বলে শেয়ার করা হলে এএফপি ইংরেজিতে এ নিয়ে ফ্যাক্ট চেক প্রতিবেদন করে। দেখুন এখানে।  

ম্যাকএভার এএফপিকে জানান যে তিনি ২০১৪ সালে স্ফটিকের আবরণ দেয়া বইটি তৈরী করেন এবং এই শিল্পকর্মের সাথে ধর্মীয় কোন সম্পৃক্ততা নেই।

এএফপি কে ইমেইলে তিনি বলেন, ''এই বইটি বাইবেল নয়। এটি চামড়ার বাধাই করা একটি জার্মান-ইংরেজি অভিধান যা আমি একটি পুরনো বইয়ের দোকান থেকে কিনেছি। আমার কাছে ব্যাপারটা হাস্যকর যে আমার বইয়ের ছবিকে কেউ বাইবেল অথবা ধর্মীয় কোন বিস্ময় বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে।''

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ