ছবিটি ২০১২ সালে প্লেগ আক্রান্ত এক মার্কিন নাগরিকের

  • নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
  • প্রকাশিত 29 জুন 2021, 09:37
  • 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
  • লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
হাসপাতালের শয্যায় শোয়া এক ব্যক্তির কালো হয়ে ফুলে যাওয়া দুই হাতের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে, নরওয়েতে কোরআনে আগুন দেওয়ায় এই ব্যক্তির দুই হাতে পচন ধরেছে। দাবিটি অসত্য; ছবির এই ব্যক্তি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা যার দুই হাতে ২০১২ সালে বিড়ালের কামড়ের ফলে তিনি বিরল এক ধরণের প্লেগে আক্রান্ত হন।

ফেসবুকে গত ১৯ জুন এখানে ছবিটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি ১১ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টে সাথে আরেকটি ছবি যুক্ত রয়েছে যেখানে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর নরওয়েতে এক ব্যক্তির কোরআন পোড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়।

ফেসবুক পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে: 'নরওয়েতে কোরআনে আগুন দেওয়া ব্যক্তির দুই হাতে পচন ধরেছে।  পৃথিবীতে কোরআনের বিরুদ্ধে অবমাননা করে কেউ পৃথিবীতে বাঁচতে পারে নাই,পারবে ও না।কোরআন আল্লাহর তরফ থেকে নাযিল হওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ, মহাপবিএ আসমানী কিতাব।'

নীচে পোস্টটির একটি স্ক্রীনশট দেওয়া হলো:

Image

একই দাবিসহ ফেসবুকে এখানে, এখানেএখানে ছবিটি পোস্ট করা হয়।

দাবিটি অসত্য।

রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায়, ছবিটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন অঙ্গরাজ্যের এক ব্যক্তির। ২০১২ সালে হাতে বিড়ালের কামড়ের ফলে তিনি বিরল প্লেগ রোগে আক্রান্ত হন।

গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে ২০১২ সালে ১৮ জুলাই তারিখে বৃটেনের দ্য গার্ডিয়ানের এই প্রতিবেদনে ছবিটি পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায় পল গেলর্ড নামের এই ব্যক্তি তখন প্লেগটি থেকে সেরে উঠছিলেন। 

নীচে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনটির স্ক্রীনশট দেওয়া হলো:

Image

বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টটিতে যুক্ত অপর ছবিটি রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল 'আরটি'র এই প্রতিবেদন থেকে নেওয়া। 

প্রতিবেদনটির ভাষ্য অনুযায়ী, ভিডিওটিতে নরওয়েতে ইসলাম বিরোধী বিক্ষোভে এক ব্যক্তি কর্তৃক কোরআন পোড়ানোর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। আরটি এই ব্যক্তির নাম লার্স থরসেন বলে নিশ্চিত হয়েছে যিনি বিক্ষোভটির আয়োজক সংগঠন 'স্টপ ইসলামাইজেশন' এর প্রধান। 

তবে মুসলিম এক যুবক লার্স থরসেন এর দিকে লাফ দিয়ে এগিয়ে তাকে লাথি মেরে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদ করেন এবং থরসেনকে নিবৃত্ত করেন। বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টে বাঁ দিকে উপরের কোনায় মুসলিম যুবকের ছবিও সংযুক্ত আছে।  

নীচে আরটি'র প্রতিবেদনটির স্ক্রীনশট দেওয়া হলো:

Image

এর আগে পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য দেশেও একইরকম দাবি সহকারে ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হলে এএফপি ইংরেজীতে ফ্যাক্ট চেক করে দাবিটি খণ্ডন করে। দেখুন এখানে। 

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ