সুদানের পার্কে সিংহের ছবিকে বাংলাদেশের বলে ফেসবুকে প্রচার
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 28 জুন 2021, 11:35
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ১৯ জুন ফেসবুকে এখানে সিংহগুলোর ছবি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি ৭০০ এরও অধিক শেয়ার হয়েছে।
বাংলায় করা ফেসবুক পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে: 'মিরপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের নিকট। জোর দাবি জানাচ্ছি দয়া করে এসব বন্যপ্রাণীদের ছেড়ে দিন। যদি এসবের দায়িত্ব পালন না করতে পারেন তাহলে। বন্য প্রাণী দিয়ে ব্যবসা করার কোনো অধিকার নেই। পোস্টটি যদি এমন কেউ দেখে থাকেন যার এবিষয়ে কিছু করার ক্ষমতা আছে তাহলে দয়াকরে ব্যবস্থা নিন।'
রাজধানী ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত চিড়িয়াখানা মূলত বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা।
এএফপির এই প্রতিবেদন অনুসারে, চিড়িয়াখানাটিতে আটটি বিপন্ন রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ ১৩৭ প্রজাতির ২৫০০ এরও অধিক প্রাণী রয়েছে।
একই দাবি সহকারে ছবিগুলো ফেসবুকে এখানে, এখানে ও এখানে পোস্ট করা হয়।
দাবিটি অসত্য।
রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় তিনটি ছবির মধ্যে দু'টি ২০২০ সালের জানুয়ারীতে ফেসবুকে এখানে পোস্ট করা হয়।
ওসমান সালিহ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিগুলো আপলোড করা হয়। সালিহ নিজেকে 'সুদান এনিম্যাল রেস্কিউ' নামক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী বলে তার প্রোফাইলে উল্লেখ করেছেন।
আরবীতে লেখা তার ফেসবুক পোস্টটির অর্থ এরকম: 'পার্কে সিংহগুলোকে দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই। দেখে মনে হচ্ছিল তাদের চামড়ার নীচ থেকে হাড় বের হয়ে আসবে।'
তিনি লিখেন: 'আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রাণীগুলোর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানাই।'
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্ট (বামে) ও ওসমান সালিহ এর পোস্টের ছবির (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রীনশট দেওয়া হলো:
সুদানের রাজধানী খার্তুমের আল কোরেশী পার্কের খাঁচায় বন্দি পাঁচটি সিংহকে বাঁচানোর জন্য অনলাইনে চলা ক্যাম্পেইন নিয়ে ২০২০ সালের জানুয়ারীতে এএফপিতে এখানে প্রতিবেদন হয়।
তিনটি ছবির মধ্যে অপর ছবিটি ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারী সুদানের রাজধানী খার্তুমের আল কোরেশি পার্ক থেকে এএফপির ফটোগ্রাফার আশরাফ শাজলির নেওয়া।
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ছবি (বামে) ও আশরাফ শাজলির তোলা ছবির (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রীনশট দেওয়া হলো:
শাজলির তোলা ছবি এএফপির ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা হয়।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ