
চীনা ও ফিলিপাইনের জাহাজের পুরনো ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা হিসেবে বিভ্রান্তিকরভাবে প্রচার
- প্রকাশিত 30 সেপ্টেম্বর 2025, 13:33
- আপডেট করা হয়েছে 30 সেপ্টেম্বর 2025, 13:35
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: Rasheek MUJIB, এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে একটি ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, “আমেরিকা এবং বাংলাদেশের যুদ্ধের মহড়া কেন্দ্র করে, বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে চীনের যুদ্ধ জাহাজ, যেকোন সময় বেঁধে যেতে পারে ভারত,চীন এবং আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ।”
পোস্টে ১২,০০০ বারের বেশি ভিউ হওয়া ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে ইউনিফর্ম পরিহিত কর্মীদেরকে সমুদ্রে একটি ছোট নৌকার দিকে দুটি বৃহৎ জাহাজ থেকে পানি স্প্রে করতে দেখা যায়। ভিডিওটির উপরে ডান কোণে দৈনিক মানবজমিনের একটি লোগো দৃশ্যমান।

বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৮ সেপ্টেম্বর সাত দিনব্যাপী “অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩” সমাপ্ত করে। কর্তৃপক্ষ জানায় এই মহড়ায় বিমান, স্থল এবং জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রমের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে(আর্কাইভ লিংক)।
চীনের একটি যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে দাবি করে একই ভিডিওটি অন্যত্র ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে।
তবে ফুটেজটি পুরনো এবং দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বিতর্কিত এলাকায় ধারণ করা হয়েছে।
কিওয়ার্ড অনুসন্ধানে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার একই ভিডিও পাওয়া, যা ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত হয়। ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয় যে, চীনা কোস্ট গার্ড ফিলিপাইনের একটি জাহাজে জলকামান নিক্ষেপ করছে(আর্কাইভ লিংক)।
অসত্যভাবে ছড়ানো ভিডিওটির কীফ্রেম ব্যবহার করে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চে ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে প্রকাশিত ফিলিপাইন কোস্টগার্ডের মুখপাত্র জে ট্যারিয়েলার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে একটি এক্স পোস্ট পাওয়া যায়(আর্কাইভ লিংক)।
পোস্টটিতে চীনা কোস্ট গার্ডের বিরুদ্ধে লুজন উপকূলের কাছে চীন-নিয়ন্ত্রিত স্কারবোরো শোলের কাছে ফিলিপাইনের জেলেদের কাছে খাবার সরবরাহের সময় তিনটি সরকারি নৌকাকে জলকামান নিক্ষেপ করে “বাধা” দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
সেই সময় এএফপির প্রতিবেদনেও রিফের ঘটনাটি পাওয়া যায়(আর্কাইভ লিংক)।

উত্তেজনাপূর্ণ অচলাবস্থার পর ২০১২ সালে চীন ফিলিপাইনের কাছ থেকে স্কারবোরো শোলের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেয়।
তারপর থেকে বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ দাবি করে টহল মোতায়েন করেছে। যেখানে মাছের পরিমাণ বেশি, সেসব স্থানে ফিলিপাইনের জেলেদের যেতে চীন হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছে ম্যানিলা।
ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ভিন্ন কোণ থেকে ধারণ করা একই ঘটনার আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করে(আর্কাইভ লিংক)।
ভিডিওটিতে লোকজনকে “এমএমওভি” লেখা একটি জ্যাকেট পরা অবস্থায় দেখা যায়, যা ফিলিপাইনের মৎস্য ও জলজ সম্পদ ব্যুরো দ্বারা পরিচালিত মাল্টি-মিশন অফশোর জাহাজগুলোকে নির্দেশ করে (আর্কাইভ লিংক এখানে ও এখানে)।

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ