পাকিস্তানের রায়উইন্ড ইজতেমার ভিডিওকে বাংলাদেশের 'বিশ্ব ইজতেমার' অসত্য দাবিতে প্রচার
- প্রকাশিত 16 ফেব্রুয়ারি 2025, 10:36
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: Eyamin SAJID, এএফপি বাংলাদেশ
গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ফেসবুকে একটি ক্লিপ শেয়ার করে এর ক্যাপশনে বলা হয়, "রাতের আধারে টঙ্গী ইজতেমার নজর কাড়া দৃশ্য। হে আল্লাহ টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা সফল ও কবুল করুন।"
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার পর এক মিনিট দীর্ঘ ক্লিপটি প্রকাশিত হয়েছিল (আর্কাইভ লিংক)।
জানুয়ারি ৩১ থেকে ফেব্রুয়ারি ৫ এবং ফেব্রুয়ারি ১৪ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত মুসলমানদের বার্ষিক এই সমাবেশে প্রায় ৪০ লাখ ধর্মানুরাগী অংশ নিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে (আর্কাইভ লিংক)।
বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী গ্রামীণ এলাকা থেকে আসলেও, এই সমাবেশে উত্তর আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া এবং চীন থেকে হাজার হাজার মুসলমান অংশগ্রহণ করেন।
বিমান টিকিট কিনে সৌদি আরবের মক্কায় যেতে অপারগ দরিদ্র বাংলাদেশী মুসলমানরা সমাবেশটিকে 'ছোট হজ' হিসেবেও আখ্যায়িত করে থাকে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি একই ধরনের ইজতেমা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
ভিডিওটি বাংলাদেশে ধারণ করা হয়েছে বলে একই ধরনের ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ক্লিপটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহৎতর শহর লাহোরে অনুষ্ঠিত ইজতেমার সময় ধারণ করা হয়েছিল।
ভিডিওটির কীফ্রেম নিয়ে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় যে এটি ১০ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে শেয়ার করা হয়েছিল (আর্কাইভ লিংক)।
লাহোর শহরের যে স্থানে বার্ষিক এই সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়, সেস্থানের প্রতি ঈঙ্গিতসহ পোস্টটির ক্যাপশনে বলা হয়, "রায়উইন্ড ইজতেমা ২০২৪"।
পাকিস্তান টুডে এবং পাকিস্তান অবজারভার্স সহ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ২০২৪ সালের ইজতেমা ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর রায়উইন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল (আর্কাইভ লিংক এখানে ও এখানে)।
রায়উইন্ড ইজতেমার শান্তিপূর্ণ সমাপ্তির দাবিতে লাহোর শহরের ট্রাফিক পুলিশও ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করেছে (আর্কাইভ লিংক)।
ভিন্ন একটি কোন থেকে ধারণ করা একই দৃশ্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়, রায়উইন্ডের গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ছবির সঙ্গে যেটির মিল রয়েছে (আর্কাইভ লিংক এখানে ও এখানে)।
এএফপি এর আগেও বাংলাদেশের ইজতেমা সম্পর্কে ছড়ানো অসত্য দাবি খণ্ডন করেছে।
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ