ভারতে বাস দুর্ঘটনার ছবিকে 'বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা' বলে বিভ্রান্তিকর দাবিতে প্রচার
- প্রকাশিত 13 নভেম্বর 2024, 14:27
- 3 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
৫ নভেম্বর ২০২৪ ফেসবুকে শেয়ার করা একটি পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, "খাগড়াছড়িতে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা, খাদে বাস উল্টে শিশুসহ মৃত্যু ২০ জনের।"
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলের একটি শহর খাগড়াছড়ি। চলতি বছরের জুন এবং এপ্রিলে এই শহরে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়েছিল (আর্কাইভ লিঙক এখানে ও এখানে)।
৭০০ বারের বেশি শেয়ার হওয়া পোস্টটিতে পাহাড়ের পাশে একটি ক্ষতিগ্রস্ত বাসের ধ্বংসাবশেষের দিকে তাকিয়ে থাকা লোকজনের চারটি ছবি যুক্ত করা হয়েছে।
পোস্টটির দীর্ঘ ক্যাপশনের একটি অংশে বলা হয়, "বাসে প্রায় ৪৫ জন যাত্রী ছিল। একাধিক যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানা যায়। বাসের ভিতরে বহু যাত্রী আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।"
এএফপির অনুসন্ধানে দেখা যায় ভারতে একটি বাস দুর্ঘটনার প্রতিবেদনের সাথে প্রকাশিত ছবিগুলো অনুরূপ অসত্য দাবিতে ফেসবুকে এখানে ও এখানে ছড়ানো হয়েছে।
তবে নভেম্বর ১৩, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সাম্প্রতিক সময়ে খাগড়াছড়িতে এমন মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার কোনো অফিসিয়াল প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
ভারতের সড়ক দুর্ঘটনা
রিভার্স ইমেজ সার্চে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর একটি সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে এখানে ও এখানে ছবিগুলো পাওয়া যায় (আর্কাইভ লিংক এখানে ও এখানে)।
ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই ছবিগুলো মধ্যে তিনটি ছবি এখানে, এখানে ও এখানে প্রকাশ করেছে (আর্কাইভ লিংক এখানে, এখানে ও এখানে)।
ছবিগুলোর মধ্যে একটির ক্যাপশনে এএনআই বলে, "উত্তরাখণ্ডের আলমোড়াতে বাস খাদে পড়ে ২৩ জন নিহত।"
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) একই দুর্ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদনে চতুর্থ ছবিটি প্রকাশ করেছে ( আর্কাইভ এখানে)।
নিচে অসত্য পোস্টের ছবির কম্পাইলেশ (বামে) এবং এএনআই ও পিটিআই প্রকাশিত ছবির (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলায় ৪ নভেম্বর একটি বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ৩৬ যাত্রী নিহত হয়েছে এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন (আর্কাইভ লিংক)।
নিচে উত্তরাখণ্ডের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের একটি ছবিতেও অনুরূপ দৃশ্য দেখা যায়:
এএফপির নয়া দিল্লি ব্যুরোর একজন সাংবাদিক বাসের ছাদের তাকে লিখা হিন্দি ভাষার শব্দগুলোকে --গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী--হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যা ধর্মীয় তীর্থস্থানকে নির্দেশ করে।
৪ নভেম্বর ২০২৪ জেলা কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যার সাথে আলমোড়া জেলার মার্চুলা এলাকার দুর্ঘটনার মিল পাওয়া যায় (আর্কাইভ লিংক)।
ছবির অবস্থানটির গুগল স্ট্রিট ভিউ-এ মার্চুলার এই রোডসাইডের সাথে মিল পাওয়া (আর্কাইভ লিংক)।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ