রাশিয়ার বন্যার ভিডিওকে 'ফেনীতে বন্যার পরিস্থিতির' ফুটেজ বলে প্রচার
- প্রকাশিত 5 সেপ্টেম্বর 2024, 14:56
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ২৩ আগস্ট ২০২৪ একটি টিকটক একাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে বলা হয়, "পুরো ফেনী তলিয়ে গেছে। ডুবছে সব ঘর বাড়ি। বিল্ডিং এর উপরতলাতে উঠেও পার পাচ্ছেন না অনেকে। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে সময়টা যেন পার করছে ফেনীবাসী। একটা মানুষও ভালো নেই।"
নয় সেকেন্ডের ক্লিপটিতে বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া বেশ কিছু বাড়ির ছাদ এক সারিতে কোন মতে পানির উপর উঁকি দিতে দেখা যায়।
আগস্ট মাসে আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশে। এতে অন্তত ৪০ জন নিহত হন (আর্কাইভ লিংক এখানে ও এখানে)।
শত শত নদী বয়ে চলা ১৭০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর দেশটি সম্প্রতিক দশকে ক্রমাগত বন্যার কবলে পড়ছে।
বন্যা কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে থাকা দেশটির দুর্দশা আরও বেড়ে গেছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা হেলিকপ্টার যোগে ভারতে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী ড মুহাম্মদ ইউনূস তার স্থলাভিষিক্ত হন। তবে কাঙ্খিত নতুন নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত।
একই ধরনের অসত্য পোস্টে ভিডিওটি ফেসবুকে এবং ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ভিডিওটি থাইল্যান্ডেও ছড়ানো হয়েছে।
তবে রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় ভিডিওটি রাশিয়ার একটি গ্রামের।
রাশিয়ার ভিডিও
ইয়ানডেস্কে রিভার্স ইমেজ সার্চে ২০২৪ সালে ১৪ এপ্রিলে ইউটিউবে অপলোড করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়, যেখানে একই দৃশ্য দেখা যায় (আর্কাইভ লিংক)।
রাশিয়ান ভাষায় লিখা ভিডিওটির ক্যাপশনের অনুবাদ হচ্ছে ,"আমাদের ইভানোভকা গ্রামে যা ঘটছে, ঘড়বাড়ি পানির নিচে।"
ভিডিওটির শুরুতে রাশিয়ান ভাষায় একজন বলেন, "ইভানোভকা গ্রাম, ১২ এপ্রিল। ইউরালে আবাসিক কমপ্লেক্স।"
নিচে অসত্য টিকটক পোস্টের (বামে) এবং আগের ইউটিউব ভিডিওটির(ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট:
১২ এপ্রিল বিবিসি জানায়, "বন্যার কারণে রাশিয়ার ওরেনবুর্গ শহরে পানির স্তর বিপদ সীমা থেকে দুই মিটার বেড়েছে, এতে বাড়ির ছাদ ছাড়া ঘড়বাড়ি ডুবে যায়" (আর্কাইভ লিংক)।"
নিচে অসত্য ভিডিও (বামে) এবং ১২ এপ্রিল ২০২৪ এ বিবিসি প্রতিবেদনের (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
একই ভিডিও এর আগেও কেনিয়া, নাইজেরিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের বন্যার ঘটনার সাথে যুক্ত করে অসত্যভাবে ছড়ানো হয়েছে। যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্যাক্ট-চেকাররা খণ্ডন করে এখানে, এখানে ও এখানে প্রতিবেদন করেছে (আর্কাইভ লিংক এখানে, এখানে এবং এখানে)।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ