এটি ভারতের আসামে কুকুর উদ্ধার করার ভিডিও, বাংলাদেশের নয়
- প্রকাশিত 4 জুলাই 2024, 17:47
- 3 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ২৬ মে ২০২৪ একটি ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করা ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, "রাজধানীতে কাচ্চি বিরানির নামে খাওয়ানো হচ্ছে কুত্তা বিরিয়ানি। কাচ্চি বিরিয়ানি লাভারদের আমন্ত্রণ।"
খাশি, গরু এবং মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি বিরিয়ানি দক্ষিণ এশিয়ায় খুবই জনপ্রিয় ও সুস্বাদু একটি খাবার।
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের ধর্ম ইসলাম, যেখানে কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ। এছাড়া বাংলাদেশে কুকুর মাংস কেনা বেচাও অবৈধ।
ভিডিওটির উপর জুড়ে দেয়া টেক্সে লেখা হয়েছে: "কাচ্চি প্রেমিদের দাওয়াত রইলো কুত্তা বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য।"
৬ লাখ ১০ হাজারের বেশি ভিউ হওয়া ভিডিওটিতে বস্তায় বাধা অবস্থায় কয়েকটি কুকুর দেখা যাচ্ছে। পাশে ক্যামেরার ফ্রেইমের বাইরে থাকা লোকজন অন্য একদল যুবকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলেও দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে।
কাচ্চি বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংস রাখার অভিযোগে গত বছর ঢাকার সুলতান ডাইন রেস্টুরেন্টের একটি শাখার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার পর একই ধরনের ফেসবুক পোস্টে ভিডিওটি এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়েছে (আর্কাইভ লিংক)।
কর্তৃপক্ষ দাবিটি তদন্ত করেছে এবং রেস্তোরাঁর খাবারে কুকুরের মাংস পরিবেশনের বিষয়ে কোনো প্রমাণ পায়নি (আর্কাইভ লিংক)।
এদিকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে দু'জনকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ (আর্কাইভ লিংক)।
আসামে উদ্ধার করা কুকুর
ভিডিওটির ২ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে 'এএস ১০ ই ২৯১৩' রেজিস্ট্রেশন প্লেটসহ একটি গাড়ি দেখা যায়।
বাংলায় একজনকে বলতে শুনা যায়, "কুকুরগুলোকে যে গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমি সেটা দেখাব। দেখুন, 'এএস ১০ ই ২৯১৩'. আমাদের তথ্য অনুযায়ী, গাড়িটি করিমগঞ্জে রেজিস্ট্রেশন করা।"
অফিসিয়াল নথি অনুযায়ী, গাড়িটি ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলায় নিবন্ধিত, বাংলাদেশে নয় (আর্কাইভ লিংক)।
গুগলে রিভার্স ইমেজ এবং কীওয়ার্ড সার্চে একটি দীর্ঘ ভিডিও পাওয়া যায়, যেটি ২২ মে ২০২৪ আসাম ভিত্তিক পশু কল্যাণ গ্রুপ অশ্রয়-করিমগঞ্জ ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেছিল (আর্কাইভ লিংক)।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, "আরও একটি কুকুর চোরাচালানের মামলা উদ্ধার---১৪টি কুকুর উদ্ধার।"
সংগঠনটির পোস্টে বলা হয়, কুকুরগুলো আসামের সীমান্তবর্তী মিজোরাম রাজ্যে পাচার হওয়ার কথা ছিল (আর্কাইভ লিংক)।
পোস্টটিতে বলা হয়েছে, "করিমগঞ্জ ভিত্তিক একটি পশু কল্যাণ সংস্থা আশ্রয় একটি সফল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে মিজোরামে পাচার হতে যাওয়া ১৪টি কুকুরকে উদ্ধার করেছে।"
নীচে অসত্য ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করা ক্লিপ (বামে) এবং আশ্রয়-করিমগঞ্জের পোস্ট করা ক্লিপের (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
ভিডিওটি আসামের আলগাপুর থেকে মিজোরামে কুকুর চোরাচালান অপারেশন জব্দ করার ঘটনার বলে নিশ্চিত করেছে আশ্রয়-করিমগঞ্জের এ্যাসিস্টান্ট সেক্রেটারি নয়ন দাস।
নয়ন দাস এএফপিকে বলেন, "গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা শিলচরের স্পর্শো অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার গ্রুপ এবং আসাম পুলিশের সহায়তায় চোরাচালানকে ব্যর্থ করে দিয়েছি।"
অপারেশনটি নিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বারাকা বুলেটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাণীগুলোকে অবৈধ কুকুরের মাংস ব্যবসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল (আর্কাইভ লিংক)।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ