মসজিদে পাকিস্তানি ব্যক্তির মৃত্যুকে বাংলাদেশের ঘটনা বলে প্রচার সামাজিক মাধ্যমে
- প্রকাশিত 4 জুলাই 2024, 13:50
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ১০ জুন, ২০২৪ একটি ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, "ফেনী সোনাগাজীতে মসজিদে আজান-রত অবস্থায় সাঈদ উল্লাহ নামের এক মুয়াজ্জিনের মৃত্যু হয়! মহান আল্লাহ পাক তার মৃত্যু, শহীদের মর্যাদা দান করুক! আমিন।"
পোস্টে একটি ঘরের মেঝেতে একটি মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড ধরা অবস্থায় স্থাবির হয়ে শুয়ে থাকা একজন ব্যক্তির ছবি দেখা যায়।
ফেনী বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের একটি জেলা।
একই দাবিতে ছবিটি ফেসবুকে এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির ছবিটি ভারতের উত্তর প্রদেশে ধারণ করা হয়েছে বলে কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী ভুলভাবে দাবি করেছেন।
তবে এএফপি অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ছবিটি পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য পাঞ্জাবের একটি শহরের একটি দুর্ঘটনার।
মুজাফফরগড় পুলিশ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা ওয়াসিম গোপাং এএফপিকে জানিয়েছেন, ছবির লোকটি শহরের একটি মসজিদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
পাকিস্তানের মসজিদ
গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চে মুজাফফরগড়ে তালিকাভূক্ত একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর ৮ জুন ২০২৪ একটি পোস্টে প্রকাশিত ছবিটির আরো একটি হাই রেজুলেশনের সংস্করণ পাওয়া যায় (আর্কাইভ লিংক)।
পোস্টের ক্যাপশনে ওই ব্যক্তিকে মাওলানা মাসুদ আজহার হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়েছে, যিনি একটি মসজিদে আজান দেয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হন।
ক্যাপশনেটিতে আরো বলা হয়, মাসুদ জামিয়া আনোয়ারুল কোরান নামে একটি স্থানীয় ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাওলানা মুহাম্মদ আসগর কুরেশির ছেলে।
নীচে অসত্য পোস্টে শেয়ার করা ছবির (বামে) এবং পাকিস্তান ভিত্তিক ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রকাশিত ছবির তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
হাফিজ মালিক নামে পাকিস্তানের যে ব্যক্তি ছবিটি শেয়ার করেছেন তিনি এএফপিকে জানিয়েছেন, ছবির ব্যক্তিটি মুজাফফারগাড়ের গাজী ঘাট গ্রামের মাওলানা মাসুদ আজহার।
মালিক বলেন, "তিনি আমাদের প্রতিবেশী ছিলেন। স্থানীয় একটি মসজিদে আছর নামাজের আজান দেয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।"
এএফপির একজন প্রতিনিধি নাজিফ আলি আব্বাস কুরেশি নামে এক ব্যক্তির সাথে কথা বলেন। ছবির মৃত ব্যক্তিটি সম্পর্কে তার কাজিন, যিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সময় মুজাফফরগড়ে একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন।
কুরেশি বলেন, "তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।"
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ