কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি ছবিকে বিভ্রান্তিকর দাবিতে প্রচার
- প্রকাশিত 3 জুন 2024, 16:15
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত একটি পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয় "পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তানের শামশালের মদন তহসিল নামে একটি দূরবর্তী স্থানে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে গুলমিনা নামের একটি মেয়ে একটি বড় তুষার চিতাবাঘের সাথে শান্তভাবে বসে আছে।"
পোস্টটির ক্যাপশনে আরো বলা হয়: "গত ১৫ ঘন্টায় এই ছবিটি খুব জনপ্রিয় হয়েছে। এটি একটি বাস্তব ছবি কিনা তা নিয়ে লোকেরা অনেক কথা বলছে। কিছু টুইট বলে যে গুলমিনা তুষার চিতাবাঘটিকে খুব ছোট থেকে বড় করেছিল, ভেবেছিল এটি একটি হারিয়ে যাওয়া বিড়ালছানা। ©খামা প্রেস নিউজ এজেন্সি।"
ছবিটিতে বরফঢাকা পাহাড়ি পটভূমিতে একটি মেয়েকে একটি চিতাবাঘের পাশে বসা অবস্থায় দেখা যায়।
একই দাবিতে ছবিটি ফেসবুকে অন্যত্র এখানে শেয়ার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ছবিটিকে আফগানিস্থানের দাবি করে থাই ভাষায় এখানে, এখানে, উর্দু ভাষায় এখানে এবং ইংরেজি ভাষায় এখানে শেয়ার করা হয়েছে।
কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারীর মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে ছবিটিকে বাস্তব বলে বিশ্বাস করেছেন।
একজন লিখেছেন: "ছবিটা অসম্ভব ভালো লেগেছে। গতকাল রাখছিলাম পোষ্ট দেওয়ার জন্য।"
আরেকজন লিখেন, "বাঘটির খাদ্য চাহিদা কিভাবে মেটে?"
তবে ছবিটি এআই ব্যবহার করে বানানো।
এআই নির্মিত ছবি
গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চে একটি ইনস্ট্রাগ্রাম একাউন্টে গত ২৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত একটি পোস্টে ছবিটি পাওয়া (আর্কাইভ লিংক)।
ছবিটির ডানে উপরের দিকে 'মিডজার্নি'র একটি জলছাপ দেখা যায়, যাতে বুঝা যায় ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়: "শিরিন এবং তার হিংস্র সঙ্গী মিলে একটি দুর্দান্ত জুটি তৈরি করেছে।"
লেখার উপর ভিত্তি করে বাবরক খান নামে ওই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গত ১৬ মে ২০২৪ এএফপিকে নিশ্চিত জেনারেটিভ এআই প্রোগ্রাম মিডজার্নি ব্যবহার করে ছবিটি বানানো হয়েছে।
তিনি এএফপিকে বলেন, "হ্যাঁ, এটা মিডজার্নির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে।"
মানুষ এবং প্রাণীদের মধ্যে সমন্বয়পূর্ণ সহাবস্থান ফুটিয়ে তোলা তার শিল্পকর্মের লক্ষ্য মন্তব্য করে বাবরক খান এএফপির কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, "এআই ব্যবহার করে, আমি আমার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কল্পনাকে ডিজিটাল বাস্তবতায় রূপ দিয়েছি।"
নিচে অসত্য পোস্টের (বামে) এবং ইনস্টাগ্রামের প্রকৃত পোস্টের (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
এএফপি এর আগেও এআই দিয়ে বানানো ছবি শেয়ার করা অসত্য পোস্ট যাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এখানে, এখানে ও এখানে।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ