পুরনো ছবিকে বাংলাদেশে রেকর্ড তাপপ্রবাহে মৃত ব্যক্তির বলে অসত্যভাবে প্রচার

২০২৪ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশে রেকর্ড তাপপ্রবাহে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। তবে রাস্তার উপর একজন মৃত ব্যক্তি পড়ে থাকার পুরনো একটি ছবি সম্প্রতিক তাপপ্রবাহে কারণে ঘটে যাওয়া প্রাণহানির নয়। একই ব্যক্তির অনুরূপ ছবি ২০১৯ সালে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়-- রাস্তায় পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা যান।

গত ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে বলা হয়, "পুরুষ, আপনজনকে একটু ভালো রাখার আশায় নিজের সর্বস্ব করে উজাড়। অতঃপর নিরব প্রস্থান। তীব্র তাবদাহে হিট স্ট্রােকে মৃত্যু।"

ছবিতে কাঁধে অ্যালুমিনিয়ামের হাড়ি পাতিল বহনকারী একজন ফেরিওয়ালা ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

দৃশ্যমান করুন গোপন করুন

কন্টেন্ট সতর্কতা

একই ছবি অনুরূপ দাবিতে অন্যত্র ফেসবুকে এখানে এখানে শেয়ার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ যখন তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল ছবিটি তখন অনলাইনে ছড়াতে শুরু করে। অসহনীয় তাপপ্রবাহে এপ্রিল মাসের শুরু অন্তত সাতজন নিহত হন। তাপপ্রবাহের কারণে কর্তৃপক্ষ এক পর্যায়ে সরকার দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে।

১৯৪৮ সালে আবহাওয়ার তথ্য সংরক্ষণ শুরুর পর থেকে এপ্রিল মাসের গড় তাপমাত্র সর্বোচ্চ ছিল।

তবে অনলাইনে ছড়ানো ছবিটি সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহ চলাকালে মৃত কোন ব্যক্তির নয়।

পুরনো ছবি

গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চে একই ছবি ২০১৯ সালের ২৯মে বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভির প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে পাওয়া যায় (আর্কাইভ লিংক)।

প্রতিবেদনে বলা হয় যে, মৃত ব্যক্তি একজন ফেরিওয়ালা ছিলেন, যিনি লহ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় মাটিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। ওই সংবাদের প্রতিবেদক আনিস কবির এএফপিকে জানিয়েছেন, ছবিটি সম্প্রতিক তাপপ্রবাহের অনেক আগের।

নিচে অসত্য দাবির পোস্টের ছবি (বামে) এবং যমুনা টিভির প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবির (ডানে) মধ্যে যেসব বিষয়ের মিল রয়েছে তা হাইলাইট করে তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:

দৃশ্যমান করুন গোপন করুন

কন্টেন্ট সতর্কতা

একই ছবি ২০১৯ সালের ৩০ মে উখিয়া নিউজের একটি প্রতিবেদনেও প্রকাশিত হয়েছে (আর্কাইভ লিংক)।

এই প্রতিবেদনটিতেও রায়পুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে ফেরিওয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ