ছবিটি চীনের একটি থিম পার্কে স্মারক সমাধি ফলকের, জাপানের নয়

একজন ব্যক্তি সমাধির নাম ফলকে প্রদর্শিত কিউআর কোড স্ক্যান করছেন এমন একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে বারংবার শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে যে, জাপানের কবরস্থানে প্রতিটি কবরে কিউআর কোড সংযোজন করা হয়েছে। তবে দাবিটি অসত্য। প্রকৃতপক্ষে ছবিটি চীনের চংকিং-এর একটি থিম পার্কে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত চীনা নাগরিকদের স্মারক সমাধি ফলকের।

গত ১০ মার্চ ফেসবুকে এখানে ছবিটি আপলোড করে ক্যাপশনে বলা হয়: "জাপানের কবরস্থানে প্রতিটি কবরের গায়ে কিউআর কোড থাকে। সেই কোড স্ক্যান করলে মৃত ব্যক্তির ছবি, নাম, ঠিকানাসহ পুরো জীবন বৃত্তান্ত দেখা যায়।"

Image

একই দাবিতে ছবিটি ফেসবুকে এখানেএখানে এবং ইউটিউব -এ হিন্দি ভাষায় এখানে ও ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় ইনিস্টাগ্রামে এখানে শেয়ার করা হয়।

তবে দাবিটি অসত্য। প্রকৃতপক্ষে ছবিটি চীনের একটি থিম পার্কে সমাধি স্মারকের।

গুগলে রিভার্স ইমেজ এবং কীওয়ার্ড সার্চে মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়, যা চীনের রাষ্ট্র মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা ইসিএনএস ২০১৫ সালের ১লা এপ্রিল একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছিল।

প্রতিবেদনটির শিরোনামে বলা হয়: 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণে অনলাইন স্মরক।'

নিচে ইসিএনএস -র প্রতিবেদনের একটি স্ক্রিনশট দেয়া হল:

Image

ছবিটির ক্যাপশনে বলা হয়: "দর্শনার্থীরা কিউআর কোড স্ক্যান করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নানজিং এ জাপানি সৈন্যদের চালানো গণহত্যা এবং চংকিং-এর বোমা হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের স্মরণ করতে পারেন। দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের চংকিং পৌরসভার থিম পার্ক ফরেনার স্ট্রিট, ৩১ মার্চ, ২০১৫।"

"দর্শকরা মোমবাতি জ্বালিয়ে, ফুল দিয়ে, ঘণ্টা বাজিয়ে এবং গাছ লাগানোর মাধ্যমে একটি অনলাইন স্মৃতিসৌধে অংশ নিতে পারেন।"

ছবিটিতে সমাধি ফলকের উপর প্রদর্শিত চীনা ভাষায় বলা হয়েছে: "নানজিং গণহত্যায় নিহতরা" এবং "অনলাইনে স্মরণ করুন"।

নিচে বিভ্রান্তিকর দাবিতে ছড়ানো পোস্টের ছবি (বামে) এবং মূল ছবির (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:

Image

চংকিং-এর থিম পার্কে স্মারক সমাধি ফলকে কিউআর কোর্ড বসানোর বিষয়ে চায়না ডেইলি এবং চায়না ডট ওয়ারজি ডট সিএন ও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো।

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ