![](/sites/default/files/medias/factchecking/g2/2024-05/7d6beeb22c4a7c72f8f51e1cffdfe05cb84c0b8d.jpeg)
এটি ভারতের আসামে তোলা শিক্ষক প্রশিক্ষণের ভিডিও, বাংলাদেশের নয়
- প্রকাশিত 1 ফেব্রুয়ারি 2024, 13:20
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত বছরের ডিসেম্বরের ১ তারিখে ফেসবুকে এখানে আপলোড করা একটি পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়: "হুম, বাংলাদেশের দেশের জন্য এটা নতুন শিক্ষা কারুকলাম। বাহঃ বাহঃ কি চমৎকার শিক্ষা ব্যবস্থা!"
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2024-05/524de08e788ec8e44456543fa60171aa50ec6193.jpeg?itok=tfEcPqXk)
দুই হাজার ৫০০ বারের বেশি ভিউ হওয়া ভিডিওটিতে এক ব্যক্তিকে সাইকেল চালিত হকার সম্পর্কে একটি বাংলা কবিতা আবৃত্তি এবং ওই চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। এসময় ওই কক্ষে উপস্থিত অন্য লোকজন তাকে অনুসরণ করে কবিতাটি আবৃত্তি ও অভিনয় করেন।
বাংলাদেশের সংশোধিত প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা পাঠ্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার আগে ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়াতে শুরু করে। বাংলাদেশের সংশোধিত শিক্ষা কার্যক্রম ২০২৪-২০২৫ শিক্ষা বর্ষ থেকে আংশিকভাবে কার্যকর হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, নতুন পাঠ্যক্রমে মুখস্ত বিদ্যার চেয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে ক্লাসে ব্যবহারিক শিক্ষা কার্যক্রমে আরও বেশি মনোনিবেশ করতে পারে সে বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। তবে সমালোচকরা বলেছেন, সংশোধিত পাঠ্যক্রম শিশুদেরকে কম গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসে আকৃষ্ট করবে এবং তাদের প্রকৃত লেখাপড়া থেকে দূরে সরিয়ে দেবে (আর্কাইভ এখানে)।
একই দাবিতে ভিডিও ক্লিপটি অন্যত্র ফেসবুকে এখানে এবং এখানে শেয়ার করা হয়।
তবে দাবিটি অসত্য। প্রকৃতপক্ষে, ভিডিওটি ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আসাম প্রদেশের একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের।
ভারতের ভিডিও
গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চে গত ১৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে আসামের ধুবরী জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রতন লাল সাহার ফেসবুকে শেয়ার করা একই ভিডিওটি পাওয়া যায় (আর্কাইভ এখানে)।
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আসামের ধুবরী জেলার স্থানীয় জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বাংলায় কথা বলে।
পোস্টটির ক্যাপশনে বলা হয়, "এফএলএন ট্রিনিং গস পোয়েম পোস্টার ফর ওরাল ল্যাঙ্গুয়েজ ডাভলপমেন্ট।"
রতন লাল সাহা এএফপিকে জানান, আসামের একটি স্কুলে তিনি শিক্ষকদের ওরাল ল্যাঙ্গুয়েজ ডেভলপমেন্টের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
তিনি বলেন, "নভেম্বর মাসের ১৬ তারিখ প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হয়। আর তার একদিন পর আমি ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করি।"
নিচে অসত্য দাবিতে শেয়ার করা পোস্টের ক্লিপ (বামে) এবং রতন লাল সাহার ফেসবুকে আপলোড করা ভিডিওটির (ডানে) তুলনামূরক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
সাহার ফেসবুক পেইজে এই ধরনের আরো প্রশিক্ষণের ভিডিও দেখা যাবে এখানে এবং এখানে।
সাহার ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে দৃশ্যমান বাংলা ভাষার লেখা পোস্টারেও ট্রেনিং কোর্সটি আসামে সংঘটিত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। পোস্টারটিতে দেখা যায় "৫ দিনীয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী" লেখা রয়েছে।
ভিডিওটির বাংলা লেখাগুলো হাইলাইট করে এএফপির করা একটি স্ক্রিনগ্র্যাব নিচে তুলে ধরা হল:
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2024-05/fba4f022d20d9bb474c99e5d21702c7c3a31f2d6.jpeg?itok=pD8pqWZH)
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ