থাইল্যান্ডের পুরনো ভিডিওকে ভারতের বিতর্কিত অযোধ্যা মন্দিরের সাথে অসত্যভাবে সম্পৃক্ত করে প্রচার
- নিবন্ধটি এক বছরেরও বেশি পুরনো।
- প্রকাশিত 30 জানুয়ারি 2024, 15:14
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: Eyamin SAJID, এএফপি বাংলাদেশ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একটি বিতর্কিত মন্দির উদ্বোধনের দুই দিন আগে ভিডিও ক্লিপটি অনলাইনে ছড়াতে শুরু করে।
কয়েক শতাব্দী ধরে বিদ্যমান ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের ধ্বংসাবশেষের উপর মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯২ সালে বর্তমান ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি সমর্থিত হিন্দু উগ্রবাদীরা ঐতিহাসিক মসজিদটি ভেঙে ফেলে।
গত ২০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে ফেসবুকে এখানে আপলোড করা একটি পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়: "রামলালার ভব্য মূর্তি অযোধ্যায় পৌঁছানোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিপুল সংখ্যক বানর সেনা আযোধ্যায় যেতে দেখা যাচ্ছে। জয় শ্রী রাম।"
দুই হাজার ৬০০ বারের বেশি ভিউ হওয়া ভিডিওটিতে বিপুল সংখ্যক বানরকে একটি রাস্তা জুড়ে দৌড়াতে দেখা যায়।
পোস্টের ক্যাপশনে আরো বলা হয়: "অপূর্ব দৃশ্য---রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান যতো এগিয়ে আসছে, ততই যেন অবাক অবাক কাণ্ড ঘটে চলেছে অযোধ্যার মাটিতে।"
অনুরুপ অসত্য দাবিতে ভিডিওটি ফেসবুকে এখানে ও এখানে ভিডিওটি কয়েক হাজারবার দেখা হয়েছে।
তবে প্রকৃতপক্ষে, ফুটেজটি কয়েক বছর আগে থাইল্যান্ডে ধারণ করা হয়েছিল, ভারতে নয়।
বানরের লড়াই
গুগলে কীওয়ার্ড সার্চ করে ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ানের ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ আপলোড করা একই ভিডিওর একটি দীর্ঘতর ভার্সন পাওয়া যায় (আর্কাইভ লিংক এখানে ও এখানে)।
ভিডিওটির শিরোনামে বলা হয়: "করোনাভাইরাসে পর্যটন বিপর্যস্ত থাইল্যান্ডে খাবার নিয়ে লড়াই করছে ক্ষুধার্ত বানরেরা।"
ভিডিওটির বিস্তারিত বর্ণনায় বলা হয় যে, ব্যাংককের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লোপবুরি শহরের মধ্যাঞ্চলে দইয়ের পাত্র নিয়ে লড়াই করার সময় বানরগুলোর ভিডিওটি নেওয়া হয়।
ভিডিওটির বর্ণনায় আরো বলা হয়: "কোভিড-১৯ কারণে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বানরগুলোকে খাবার দেয়ার মতো লোকের সংখ্যাও কমে গেছে।"
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এএফপি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (আর্কাইভ এখানে)।
অসত্য দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি গার্ডিয়ানের ভিডিওর ২৯ সেকেন্ড পরবর্তী ফুটেজের সাথে মিল পাওয়া যায়।
নিচে অসত্য দাবিতে ছড়ানো পোস্টের ভিডিওটির (বামে) এবং গার্ডিয়ানের ভিডিওর (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
এএফপি ফেসবুক পোস্টের ভিডিওতে দৃশ্যমান রাস্তার পাশের অবকাঠামো এবং লোপবুরি শহরের থা হিন এলাকার অবকাঠামোর মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছে (আর্কাইভ এখানে)।
নিচে অসত্য দাবিতে ছড়ানো পোস্টের ভিডিওটির (বামে) সাথে গুগল স্যাটেলাইট ইমেজের (ডানে) যেসব বস্তু ও চিহ্নের মিল রয়েছে, সেগুলো হাইলাইট করে একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ