এটি আমেরিকায় ২০১২ সালে প্লেগ আক্রান্ত রোগির ছবি, নরওয়েতে পবিত্র কোরআন পোড়ানো ব্যক্তির নয় 

  • প্রকাশিত 20 সেপ্টেম্বর 2023, 16:57
  • আপডেট করা হয়েছে 20 সেপ্টেম্বর 2023, 17:05
  • 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
  • লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কালো হয়ে ফুলে যাওয়া দুই হাত নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শোয়া এক ব্যক্তির একটি ছবি এবং ২০১৯ সালে নরওয়েতে ইসলাম বিরোধী বিক্ষোভে কোরআনে পোড়ানো ব্যক্তির ছবির কোলাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে, নরওয়েতে কোরআনে আগুন দেওয়ার পর ওই ব্যক্তির দুই হাতে পচন ধরেছে। তবে দাবিটি অসত্য; ছবির এই ব্যক্তি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা, যিনি বিড়ালের কামড়ের পর ২০১২ সালে বিরল এক ধরণের প্লেগে আক্রান্ত হন।

ফেসবুকে গত ৪ সেপ্টেম্বর এখানে একটি কোলাজ ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে: '' ব্রোকিং......নরওয়েতে কোরআনে আগুন দেওয়া ব্যক্তির দুই হাতে পচঁন ধরেছে। পৃথিবীতে কোরআনের বিরুদ্ধে অবমাননা করে কেউ পৃথিবীতে বাঁচতে পারে নাই,পারবে ও না। কোরআন আল্লাহর তরফ থেকে নাযিল হওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপবিত্র আসমানী কিতাব।''

পোস্টটির ক্যাপশনে আরো লেখা হয়েছে: "কোরআন শরীফ অবমাননাকারীদের শাস্তি পৃথিবীতে হয়েছে খুবই কঠিন ও কষ্টকরভাবে .. পরকালে ও হবে খুব ভয়ংকর..।"

Image
বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টে স্ক্রিনশটটি ২০ সেপ্টেম্বর নেয়া

একই দাবিসহ ফেসবুকে এখানে এখানে ছবিটি পোস্ট করা হয়।

তবে দাবিটি অসত্য। রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায়, ছবিটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন অঙ্গরাজ্যের এক ব্যক্তির। তার হাতে বিড়াল কামড়ে দিলে ২০১২ তিনি বিরল প্লেগ রোগে আক্রান্ত হন। ২০১২ সালে ১৮ জুলাই বৃটেনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে 'পল গেলর্ড' নামের এই ব্যক্তি তখন প্লেগটি থেকে সেরে উঠছিলেন (আর্কাইভ এখানে)।

নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ছবি (বামে) এবং দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবির (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:

Image
বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্ট এবং গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত ছবির তুলনামূলক স্ক্রিনশট

বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টটিতে যুক্ত অপর ছবিটি রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল 'আরটি'র এই প্রতিবেদন থেকে নেওয়া (আর্কাইভ এখানে)।

প্রতিবেদনটির সাথে যুক্ত ভিডিও ফুটেজে এক ব্যক্তি কর্তৃক কোরআন পোড়ানোর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

আরটি'র প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির নাম লার্স থরসেন, যিনি বিক্ষোভটির আয়োজক সংগঠন 'স্টপ ইসলামাইজেশন অব নরওয়ে (এসআইএএন)' এর প্রধান।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কোরআন পোড়ানো শুরু করলে মুসলিম এক যুবক দৌড়ে এসে লার্স থরসেনকে লাথি মেরে কোরআন পোড়ানোর থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।

বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টে বামপাশের উপরের কোনায় প্রতিবাদকারী ওই মুসলিম যুবকের ছবিও সংযুক্ত আছে।

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ