![](/sites/default/files/medias/factchecking/g2/2023-06//99b45290e82055e909709330f0a2e86c.jpeg)
এটি ২০২২ সালে ভারতে একজনকে উদ্ধারের ভিডিও, ২০২৩ সালে মোখা ঘূর্ণিঝড়ের নয়
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 2 জুন 2023, 17:35
- 3 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ১৪ মে ভিডিওটি ফেসবুকে এখানে শেয়ার করে বাংলায় ক্যাপশন লেখা হয়েছে: "মোখা" চাইতি আর যাবিনি হ! মোখার তান্ডব দেখতে গিয়ে এই পরিনতি!সুতরাং সব কিছু এতটা হালকা ভাবা উচিত নয়।"
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2023-06/9bbb2ad68257279740e81e4c34452947.jpeg?itok=jMVkaHlW)
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন ব্যক্তি সমুদ্রের শক্তিশালী ঢেউয়ের তোড়ে তীরে উঠার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। পরে তাকে দড়ির সাহায্যে টেনে অন্য এক ব্যক্তি তীরে উঠাতে সক্ষম হন।
ঘূর্ণিঝড় মোখা গত ১৪ মে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানে যা গতি বিবেচনায় বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ছিল যা ভূমিতে আসার পর ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে গেছে (আর্কাইভ লিংক)।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এএফপিকে জানিয়েছেন দেশটিতে কেউ মারা যাননি, তবে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের কর্তারা তাদের দেশে ১৪৫ জনের মৃত্যুর খবর জানান (আর্কাইভ লিংক)।
ওই সময় ঢাকা ট্রিবিউন সংবাদমাধ্যম রিপোর্ট করে যে, বাংলাদেশ সরকারের সতর্কতা সত্ত্বেও দেশটির উপকূলীয় এলাকায় বহু লোক ঘূর্ণিঝড়ের আগ মূহূর্তে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গেছেন যারা (আর্কাইভ লিংক)।
ভিডিওটি একই রকম দাবি সহকারে ফেসবুকে এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়েছে।
তবে এই ভিডিও মোখার সময় কোন ব্যক্তির সাগরে ভেসে যাওয়ার ঘটনার নয়।
ভারতের দিঘায় উদ্ধার
গুগলে কীওয়ার্ড এবং রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভিডিওটির একটি দীর্ঘতর এবং উচ্চতর রেজুলেশনের একটি সংস্করণ ইউটিউবে এখানে পাওয়া গেছে যা ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট আপলোড করা হয় (আর্কাইভ লিংক)।
বাংলা ভাষায় ভিডিওটির শিরোনাম লেখা হয়েছে: "জলোচ্ছ্বাসে দীঘায় গার্ডওয়াল থেকে ছিটকে উত্তাল সমুদ্রে ভেসে গেলেন পর্যটক viralvideo#dighaseabeach"।
দিঘা ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য পশ্চিম বঙ্গের একটি উপকূলীয় শহর (আর্কাইভ লিংক)।
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) এবং ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওর (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2023-06/14148e411836a9daa25869bd6f52ae72.jpeg?itok=mXwPSI4e)
ইউটিউবের ভিডিওর ২ মিনিটের দিকে দেখা যায় কমলা রঙের জামা পরা একদল লোক 'পর্যটক' হিসেবে বর্ণিত এক লোককে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের জামার পেছনে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে "Disaster Management & Civil Defence West Bengal" (আর্কাইভ লিংক)।
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) এবং ইউটিউব ভিডিওর (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হলো যেখানে এএফপি উদ্ধারকারীদের গায়ের জামায় থাকা শব্দগুলোকে হাইলাইট করেছে:
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2023-06/53d346bce108e581f9d146ee036ffcbf.jpeg?itok=9ejNHwPC)
ভিডিওর ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডে একটি পার্কের মতো জায়গা দেখা যায় যা দিঘার সমুদ্রতীরবর্তী একটি পার্কে গুগল ম্যাপে পাওয়া ছবির সাথে মিলে যায় (আর্কাইভ লিংক)।
ইউটিউবে পাওয়া ভিডিওতে দৃশ্যমান পার্ক (বামে) এবং গুগল ম্যাপে পাওয়া ছবিতে দিঘার পার্কটির মধ্যকার মিলগুলো নীচের স্ক্রিনশটে হাইলাইট করে দেখিয়েছে এএফপি:
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2023-06/5a5424a6adb345ed680ee3610711740b.jpeg?itok=4387Hv6S)
একই রকম ভিডিও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন এবং কনক নিউজ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের আগস্টে প্রকাশিত হয়েছে যেখানে জানানো হয়েছে দিঘায় এক পর্যটককে উদ্ধারের ঘটনা এটি (এখানে ও এখানে আর্কাইভ লিংক)।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ