আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের হামলার ছবিটি পুরনো
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 17 এপ্রিল 2023, 10:36
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ৭ এপ্রিলের একটি পোস্টে লেখা রয়েছে, “ভালো নেই আল আকসা।”
গত ৫ এপ্রিল ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের হামলার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ইসরায়েলি বাহিনীর ভাষ্যমতে, “আইন ভঙ্গকারী ও মুখোশধারী যুবকদের” হটানোর জন্য সশস্ত্র পুলিশ মসজিদটির নামাজ পড়ার স্থানে অভিযান চালায়।
বিপরীতে পুলিশের প্রতি ইট পাটকেল ও আতশবাজি নিক্ষেপ করা হয়। এতে ৩৫০ জনকে আটক করা হয়।
একইরকম দাবি সহকারে ছবিটি ফেসবুকে এখানে ও এখানে এবং টুইটারে এখানে শেয়ার করা হয়।
তবে ছবিটি বিভ্রান্তিকর প্রেক্ষাপটে শেয়ার করা হয়েছে।
রিভার্স ইমেজ সার্চে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের হামলার একটি পোস্টের সাথে ছবিটি পাওয়া যায়।
ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর এর রামি আবদুর ২০২২ সালের ২২ এপ্রিলের টু্ইটটিতে লেখা রয়েছে, “পৃথিবীর সবচেয়ে গণতান্ত্রিক সেনাবাহিনীর দ্বারা একটি মসজিদে মানুষের হাত ও পা ক্যাবল দিয়ে বেঁধে রাখা। পবিত্র রমজান মাসে শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ পড়া ফিলিস্তিনীদের জীবন এরকমই।”
২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল ড্যানিশ সংবাদপত্র ডাগব্লাদেত আরবেজদেরেন এর একটি প্রতিবেদনে ছবিটি পাওয়া যায় যেখানে বলা হয়েছে যে, এতে আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনীদের শুয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
নীচে বিভ্রান্তিকর পোস্টের ছবি (বামে) ও ২০২২ সালে ড্যানিশ সংবাদপত্রে (ডানে) প্রকাশিত ছবির একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:
জেরুজালেম ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল কাস্তাল ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল একটি ভিডিও পোস্ট করে যেখানে এই ছবির হুবহু দৃশ্য দেখা যায়।
আল কাস্তালের আরবী টুইটে লেখা রয়েছে, “প্রেস কাভারেজ: দখলদার বাহিনী কিবলি চাপেল (আল আকসা মসজিদের ভেতরে) এর ভেতরে থাকা মানুষদের প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে ও পেটায়।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৫ ও ২২ এপ্রিল ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনী মুসল্লীদের মধ্য সংঘর্ষের খবর সংবাদমাধ্যমে আসে।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ