ছবিতে ২০২৩ সালের নয়, ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে ভূমিকম্পের পরের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে
বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে সেটিতে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে নিউজিল্যান্ডে সংঘটিত একটি ভূমিকম্পের পরের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ছবিটি ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ঘটা অন্য একটি ভূমিকম্পের পরে তোলা যেখানে একটি বিধ্বস্ত ভবন দেখা যাচ্ছে।
গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম এনটিভির ফেসবুক পেইজে পোস্ট করা একটি ছবির সাথে বাংলায় লেখা রয়েছে: "এবার নিউজিল্যান্ড কাঁপল ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে"।

যুক্তরাষ্ট্রের জিওলোজিকাল সার্ভে এর প্রতিবেদন মতে, একইদিন নিউজিল্যান্ডের কেরমাডেচ দ্বীপে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
দ্বীপটিতে সরকারি একটি সংরক্ষণ অফিস ব্যতীত প্রায় জনমানবশূন্য।
এনটিভির পোস্ট করা ছবিটি আরও কিছু ফেসবুক পোস্টে যেমন এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়েছে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকে বিভ্রান্তিকর পোস্টের ছবিকে সাম্প্রতিক ঘটনার বলে বিশ্বাস করে লিখেছেন, "আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন" এবং "আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।"

গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ছবিটি এখানে পাওয়া গেছে যা ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর ক্রাইস্টচার্চে ভূমিকম্পের পর তোলা হয়।
ছবিটি তখন সংবাদ সংস্থা রয়টার্স প্রকাশ করে।
রয়টার্সের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে: "২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনের ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করছেন একজন কাউন্সিল কর্মী।"
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ছবি (বামে) এবং রয়টার্সে ছবির (ডানে) তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হল:

২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এএফপি একই ভবনের ভিন্ন এঙ্গেল থেকে তোলা আরেকটি ছবি প্রকাশ করেছিল।
এই ছবির ক্যাপশন ছিল: "ছবিতে দেখা যাচ্ছে ২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ক্রাইস্টচার্চে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ওয়েস্টেন্ড জুয়েলার্সের এর ভেঙে পড়া দেয়াল এবং ধ্বংসস্তুপে বন্ধ হয়ে পড়া রাস্তা।"
নীচে এএফপির ছবির স্ক্রিনশট দেয়া হল:

২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ঘটা ভূমিকম্পটি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী কম্পনের ঘটনা যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কেউ মারা যায়নি।