শিশুর ছবিটি ২০২০ সালের তুরস্কে ভূমিকম্পের, ২০২৩ সালের নয়

কপিরাইট এএফপি ২০১৭-২০২3। সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত।

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক শিশুর একটি ছবি শেয়ার করে অসত্যভাবে দাবি করা হচ্ছে ছবিটি এবছর ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরবর্তী ছবি। মূলত ছবিটিতে ২০২০ সালে তুরস্কের ইজমিরে সংঘটিত একটি ভূমিকম্পের পরে ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকে থাকা এক শিশুকে দেখা যাচ্ছে।

ছবিটি গত ৭ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে এখানে শেয়ার করা হয়।

পোস্টটির বাংলা ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনে আটকে পড়া একটি বাচ্চা। তুর্কি-সিরিয়া সীমান্তবর্তী শহরে ৪ হাজারের অধিক মানুষ এ পর্যন্ত মারা গেছেন।”

ছবিটিতে ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকে থাকা এক শিশুকে এক ব্যক্তির হাতের দিকে হাত বাড়াতে দেখা যাচ্ছে।

( Mohammad MAZED)

গত ৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়া অঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

ছবিটি একইরকম দাবি সহকারে ফেসবুকে এখানে এখানে শেয়ার করা হয়।

তবে মূলত ছবিটিতে ২০২০ সালে তুরস্কের ইজমিরে সংঘটিত একটি ভূমিকম্পে আটকে পড়া এক শিশুকে দেখা যাচ্ছে।

ইজমির ভূূমিকম্প

গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় ছবিটি ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের একটি প্রতিবেদনের সাথে প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল, “তুরস্কে ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তুপ থেকে দ্বিতীয় মেয়ে শিশু জীবিত উদ্ধার।”

এএফপি'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর তুরস্কের ইজমিরে ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে প্রায় ১১৪ জন নিহত হন এবং ১,০০০ লোক আহত হন।

তুরস্ক পুলিশ ও আনাদলু এজেন্সির সৌজন্যে শিশুটির অন্যান্য ছবির পাশাপাশি এই ছবিটি এএফপিও প্রকাশ করেছিল।

ভূমিকম্পের ৯১ ঘন্টা পর জীবিত উদ্ধার হওয়া এই শিশুকে নিয়ে এএএফপির প্রতিবেদন দেখুন এখানে

আয়দা চেজকিন নামের এই শিশুকে উদ্ধারের কয়েক ঘন্টা পরই তার মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।