ভুমিকম্পের সময় কেঁপে ওঠা হোটেলের এই দৃশ্য ২০২৩ সালের নয়, বরং ২০২০ সালের

  • নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
  • প্রকাশিত 15 ফেব্রুয়ারি 2023, 08:58
  • 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
  • লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বিভ্রান্তিকরভাবে শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে ভিডিওটি ২০২৩ সালে তুরস্ক ও সিরিয়ায় সংঘটিত ভূমিকম্পের সময় তুরস্কের একটি হোটেলের রান্নাঘরের দৃশ্য। মূলত ভিডিওটি ২০২০ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইজমিরে আঘাত হানা অপর একটি ভূমিকম্পের খবরের সাথে সেসময় প্রকাশিত হয়।

৫৬ সেকেন্ড দীর্ঘ ভিডিওটি গত ৬ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে এখানে শেয়ার করা হয়।

পোস্টটির বাংলা ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “ভূমিকম্পের সময় তুরস্কের একটি হোটেলের ফুটেজ। উল্লেখ্য, আজ ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্ক ও সিরিয়ায়।”

Image
( Mohammad MAZED)

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প তুরস্কের পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানার পর ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩৩,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এএফপির প্রতিবেদন দেখুন এখানে

ভিডিওটি ফেসবুকে এখানে এখানে একইরকম দাবি সহকারে শেয়ার করা হয়।

তবে মূলত ভিডিওটি তুরস্কের সাম্প্রতিক এই ভূমিকম্পের আগে থেকে অনলাইনে পাওয়া যায়।

পুরনো ভিডিও ক্লিপ

ভিডিওটির কী-ফ্রেম দিয়ে গুগল রিভার্স সার্চে দেখা যায় এর অপেক্ষাকৃত সংক্ষিপ্ত একটি সংস্করণ ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বের তুরস্ক ও গ্রীসে সংঘটিত একটি ভূমিকম্প নিয়ে তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি সাফাকের একটি প্রতিবেদনের সাথে প্রকাশিত হয়।

তুর্কি ক্যাপশনটিতে লেখা রয়েছে, “নিরাপত্তা ক্যামেরায় ইজমিরের ভূমিকম্পের তীব্রতা ধরা পড়লো।”

নীচে বিভ্রান্তিকর পোস্টের ভিডিও (বামে) ও ইয়েনি সাফাকে প্রকাশিত ভিডিওর (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:

Image

ক্লিপটির ২ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের দীর্ঘতর একটি ভার্সন তুর্কি পত্রিকা হুররিয়েত থেকে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর ইউটিউবে প্রকাশিত হয়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “নিরাপত্তা ক্যামেরায় ভূমিকম্পের আরেকটি দৃশ্য।”

ভিডিওটি উপরের ডান দিকে রেকর্ডিংয়ের তারিখ “৩০-১০-২০২০” লেখা রয়েছে।

নীচে বিভ্রান্তিকর পোস্টের ভিডিও (বামে) ও হুররিয়েতের প্রকাশিত ভিডিওর (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:

Image

এএফপি'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প গ্রীক দ্বীপ সামোস ও তুরস্কের ইজমিরের মধ্যবর্তী ইজিয়ান সাগরে আঘাত হানে। এতে ১১৪ জন প্রাণ হারান এবং হাজারো মানুষ আহত হন।

তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ একটি অঞ্চল। ১৯৩৯ সালে দেশটির এরজিনকান প্রদেশে এক ভূমিকম্পে ৩৩,০০০ হাজার এবং ১৯৯৯ সালে অপর এক ভূমিকম্পে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ