বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ‘সিঁদূর পরার’ সম্পাদনা করা ছবি অনলাইনে

কপিরাইট এএফপি ২০১৭-২০২3। সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত।

ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে ছবিটিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কপালে সিঁদূর পরতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু মূল ছবিটি ২০১২ সালে তার ভারত সফরের সময় তোলা এবং ছবিটিতে হাসিনার সিঁদূর পরার কোন প্রমাণ নেই।

গত ২৭ জানুয়ারির একটি ফেসবুক পোস্টে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়, “জনগণ ভালো করেই জানে কারা ধর্ম ব্যবসায়ী।”

পোস্টটিতে দুটি ছবি সংযুক্ত রয়েছে, একটিতে শেখ হাসিনাকে কালো রংয়ের স্কার্ফ পরে হাত তোলে দোয়া করতে এবং অন্যটিতে তার কপালে অন্য একজন সিঁদূর পরিয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে।

( Mohammad MAZED)

সাধারণত হিন্দু বিবাহিত নারীরা কপালে সিঁদূর দিয়ে থাকেন।

২০২২ সালের মে মাসে ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপি'র তৎকালীন মূখপাত্র নুপুর শর্মার নবী মুহাম্মদকে নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্যের পরও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ না করায় হাসিনার কপালে সিঁদূর দেয়ার একই ছবি সেসময় ফেসবুকে শেয়ার করা হয়।

ছবিটি একইরকম দাবি সহকারে ফেসবুকে এখানে এখানে শেয়ার করা হয়।

তবে হাসিনার সিঁদূর পরার ছবিটি মূলত সম্পাদনা করা।

সম্পাদিত ছবি

গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় মূল ছবিটি ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি দ্য নিউ ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়।

বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সৌজন্যে ছবিটি দিয়ে ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “আগরতলায় শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেয়ার আরেকটি ছবি।”

পরবর্তীতে গুগল কীওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ছবিটি এপি'র আর্কাইভে পাওয়া যায় যা ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি তোলা হয়।

ছবিটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।” (এপি ছবি/অনুপম নাথ।)

নীচে বিভ্রান্তিকর পোস্টের ছবি (বামে) ও এপি'র ছবির (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:

এপি'র মূল ছবিটিতে শেখ হাসিনার কপালে কাউকে সিঁদূর পরিয়ে দিতে দেখা যায় না।