![](/sites/default/files/medias/factchecking/g2/2023-01//89b090cdea759b2ccb1b0bf0e49aa4b7.jpeg)
কৃত্রিম গর্ভের অ্যানিমেশন ভিডিও নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তি
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 19 জানুয়ারি 2023, 13:12
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ভিডিওটি গত ১৩ ডিসেম্বর ফেসবুকে এখানে শেয়ার করা হয়।
পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম গর্ভের সুবিধা, ইক্টো লাইফ, বছরে ৩০,০০০ পর্যন্ত শিশুকে জন্ম দিতে পারে।”
ভিডিওটি একইসাথে একই দাবি সহকারে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়ায়ও ফেসবুকে শেয়ার করা হয়।
কনসেপ্ট ভিডিও
রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় ভিডিওটি ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর বার্লিন ভিত্তিক বিজ্ঞানভিত্তিক ভিডিও নির্মাতা হাশিম আল গাইলীর ইউটিউব চ্যানেল হতে প্রকাশিত হয়।
ভিডিওটির শিরোনামে লেখা রয়েছে, “ইক্টো লাইফ: বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম গর্ভ সুবিধা।”
ভিডিওটির ৭ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে ধারাবর্ণনায় বলতে শোনা যায়, “ইক্টোলাইফ সুবিধার ধারণাটি বায়োটেকনোলজিস্ট ও কমিউনিকেটর হাশেম আল গাইলীর তৈরি করা।”
এছাড়া ৮ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে ভিডিওটিতে লেখা দেখা যায়, “ধারণা: হাশেম আল গাইলী।”
নীচে বিভ্রান্তিকর পোস্টের ভিডিও (বামে) ও ইউটিউব ভিডিওর (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:
![](/sites/default/files/styles/image_in_article/public/medias/factchecking/g2/2023-01/586dd71a4604dd4041ef51f9493ca622.jpeg?itok=I0lmDu2k)
ভিডিওটির নির্মাতা আল গাইলী এএফপিকে ইমেইলে বলেন, ভিডিওটি একটি অ্যানিমেশন যা কেবল একটি ধারণা দেয়ার জন্য তৈরি করা।
তিনি গত ২৮ ডিসেম্বর বলেন, “যারা এটি শেয়ার করছেন তারা ফুটেজটিকে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে শেয়ার করছেন।”
আল গাইলী বলেন, “ইক্টোলাইফ কোন বাস্তব সুবিধা নয় এবং এই ধরণের প্রোটোটাইপ তৈরির কোন প্রয়াস এখন পর্যন্ত কোথাও নেই।”
আল গাইলী তার ইউটিউব চ্যানেলে অনুরূপ আরো সিজিআই অ্যানিমেশন ভিডিও পোস্ট করেন। দেখুন এখানে ও এখানে।
কৃত্রিম গর্ভ সুবিধা বিষয়ক গবেষণা
বিজ্ঞানীরা যদিও কৃত্রিম গর্ভ সুবিধা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তবে তাদের সফলতা এখনো বিভিন্ন প্রাণীর উপর চালানো পরীক্ষা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ আছে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে নেদারল্যান্ডের গবেষকরা জরায়ুর বাইরে বড় হওয়া প্রিম্যাচিউর শিশুর জন্য কৃ্ত্রিম গর্ভের একটি প্রোটোটাইপ তৈরির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ২.৯ মিলিয়ন ইউরোর একটি মঞ্জুরী পান। ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে “কৃত্রিম গর্ভ আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাস্তবতায় পরিণত হবে।”
গত ৯ জানুয়ারি প্রকল্পটির অন্যতম সদস্য এবং আইন্দোবেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ফান্ডামেন্টাল পেরিন্যাটোলজি'র সভাপতি অধ্যাপক গিড ওয়ে এএফপিকে বলেন, “এই অ্যানিমেশন ভিডিওটিতে যেভাবে দেখানো হয়েছে এরকম কৃত্রিম গর্ভের কোন কাজ বিশ্বের কোথাও এখন হচ্ছে না।”
তিনি বলেন, “অ্যানিমেটেড ফিল্মটিতে দাবি করা হয়েছে যে একটি শিশু সম্পূর্ণভাবে একজন নারীর শরীরের বাইরে বেড়ে উঠবে যা বৈজ্ঞানিকভে সম্পূর্ণ অসম্ভব।”
ওয়ে বলেন, “ইউরোপিয়ান কনসোর্টিয়ামের প্রকল্পে আইন্দোবেনে আমরা যা করছি সেটি হলো আমরা প্রিম্যাচিউর শিশুদের জন্য ইনকিউবেটরেরই উন্নত একটি সংস্করণ তৈরী করার চেষ্টা করছি।”
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ