এটি আর্কটিক সার্কেল থেকে ধারণ করা চাঁদের ভিডিও নয়

কপিরাইট এএফপি ২০১৭-২০২3। সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত।

ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে এটি আর্কটিক সার্কেল থেকে চাঁদের একটি নিকটতর ভিডিও। দাবিটি অসত্য; এটি মূলত কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজারি (সিজিআই) দিয়ে ইউক্রেন ভিত্তিক এক শিল্পীর তৈরি একটি ভিডিও।

গত ২৮ জুলাই ফেসবুকে এখানে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়।

পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “রাশিয়া এবং কানাডার মধ্যে আর্কটিক সার্কেল থেকে চাঁদ খুব কাছথেকে দেখা যায়, এটি মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। তবে এটি একটি দর্শনীয় দৃশ্য ! কল্পনা করুন যে আপনি কানাডা এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি জায়গায় আছেন এবং হঠাৎ মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য, চাঁদটি তার সমস্ত জাঁকজমক সহ উপস্থিত হয় এবং আপনার চোখের সামনে অদৃশ্য হয়ে যায়। মনে হচ্ছে চাঁদ পৃথিবীর সাথে ধাক্কা খাচ্ছে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি চিত্তাকর্ষক হল মাত্র ৫ সেকেন্ডের জন্য সূর্যগ্রহণও ঘটে। এটা অতি চমৎকার ও দর্শনীয়!”

( Mohammad MAZED)

আর্কটিক সার্কেল তথা সুমেরু বৃত্ত হচ্ছে পৃথিবীর মানচিত্রে প্রদর্শণকৃত প্রধান পাঁচটি বৃত্তের একটি যার অবস্থান পৃথিবীর সর্ব-উত্তরে।

একইরকম দাবি সহকারে ভিডিওটি ফেসবুকে এখানে এখানে শেয়ার করা হয়।

দাবিটি অসত্য।

গুগল কীওয়ার্ড সার্চে দেখা যায় এই ভিডিওটি ২০২১ সালের ১৭ মে টিকটক ব্যবহারকারি আলেকসে পাত্রেভপোস্ট করেন।

পাত্রেভের অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্টে তিনি নিজেকে ইউক্রেনের ওডেসা ভিত্তিক একজন কম্পিউটার গ্রাফিকস আর্টিস্ট হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

তিনি জানান, এই ভিডিও তৈরি করতে তিনি থ্রিডিএস ম্যাক্স, অ্যাডোবি আফটার ইফেক্টস, অ্যাডোবি ফটোশপ, ভি-রে এবং করোনা রেন্ডারার ব্যবহার করেছেন।

এএফপিকে পাত্রেভ বলেন, “এই ভিডিওটি আমার।”

নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) ও পাত্রেভের পোস্ট করা ভিডিওটির (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:

২০২১ সালের ১৪ মে থেকে পাত্রেভের টিকটকে পোস্ট করা অন্যান্য ভিডিও-ও চাঁদকে কেন্দ্র করে তৈরি করা।

২০২১ সালের ২৬ মে টিকটকে পোস্ট করা তার আরেকটি ভিডিওতে চাঁদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও পাওয়া যায়।