এটি হিন্দু ভগবান বিষ্ণুর ৫ হাজার বছরের পুরনো মূর্তি নয়, ইন্দোনেশিয়ান রিসোর্টে রাখা বুদ্ধমূর্তি
- নিবন্ধটি তিন বছরেরও বেশি পুরনো।
- প্রকাশিত 18 সেপ্টেম্বর 2022, 15:25
- 1 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
গত ৫ আগস্ট ২০২২ তারিখে ছবিটি ফেসবুকে এখানে পোস্ট করা হয় এবং এর পর থেকে পোস্টটি ১৪০ বারের বেশি শেয়ার হয়েছে।
পোস্টে ছবির ওপরে আসামীয় বাংলায় লেখা রয়েছে: "৫০০০ হাজার বছর পুরনো ভগবান বিষ্ণুর এই মূর্তিটা সাগরের তলদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।"
আর ক্যাপশনে বাংলায় লেখা হয়েছে: "কেউ অবহেলা করবেন না।"
একই ছবি বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে একই ধরনের দাবি সহকারে ফেসবুক এখানে, এখানে ও এখানে পোস্ট করা হয়েছে এবং এসব পোস্ট ৭০০ এর অধিকবার শেয়ার হয়েছে।
কিন্তু ছবিটি প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মের ভগবান বিষ্ণুর ৫ হাজার বছর পুরনো মূর্তির নয়।
ইন্দোনেশিয়ায় সমুদ্র তলদেশের পার্ক
কীওয়ার্ড এবং রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ছবিটি ডেভিড ল্যাজার নামে একজন অস্ট্রেলীয় ফটোগ্রাফারের ফেসবুক পেইজে ২০১৫ সালের ২২ জুন তারিখের একটি পোস্টে পাওয়া গেছে।
সেখানে ছবিটির ক্যাপশন ছিল: "বালির উপকূল স্কুবা ডাইভিং করার সময় পানির নিচের আবিষ্কার"।
আরও সার্চ করে এই ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইটে একইরকম আরেকটি ছবি পাওয়া যায় যেখানে বলা হয়েছে যে, এটি ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপস্থ তুলামবেন গ্রামের মাতাহারি তুলামবেন রিসোর্টে অবস্থিত পানির নিচের 'সুচি প্লেস' নামক পার্কে থাকা 'ঘুমন্ত বুদ্ধ'র মূর্তি।
রিসোর্টের মালিক কমাংগ সুচি এএফপিকে জানিয়েছেন, তার রিসোর্টের সামনে পানির নিচের তৈরি করা 'সুচি প্লেস'-এ বেশ কয়েকটি মূর্তি রয়েছে যার বেশিরভাগই হিন্দু ধর্মাবতারদের। তবে সেগুলোর মধ্যে 'ঘুমন্ত বুদ্ধ'র মূর্তিটিও রয়েছে।
বালি হল মুসলিমপ্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দু অধ্যুষিত একটি দ্বীপ।
সুচি এএফপিকে আরও বলেন, "যারা ডাইভিং শিখতে চান তাদের জন্য পানির নিচে সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করে দেয়ার জন্যই আমি জায়গাটি প্রস্তুত করেছি।"
তিনি জানান, সেখানে রাখা মূর্তিগুলো তিনি স্থানীয় বিভিন্ন দোকান থেকে ক্রয় করেছেন।
"ঘুমন্ত বুদ্ধের মূর্তিটি ২০১৩ সালের পানির নিচে আনা হয়। অবশ্যই আমাদের প্রকল্পের মূর্তি ৫ হাজার বছর পুরনো নয়। তেমনটা হলে সেটি নিশ্চিত কোনো জাদুঘরে থাকতো", বলেন সুচি।
তিনি ২০১৪ সালে তার মালিকানাধীন মাতাহারি রিসোর্টের ফেসবুক পেইজে পোস্ট করা একটি ছবির লিংক পাঠান যেখানে তাকে পানির নিচের পার্কটিতে দেখা যাচ্ছে।
তার রিসোর্টের ফেসবুক পেইজে ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে পানির নিচের পার্কটির ছবি আপলোড করা হয়েছে এখানে, এখানে ও এখানে।
বালিতে পানির নিচের আরেকটি পার্ক সংক্রান্ত একইরকম দাবি এএফপি এর আগে খণ্ডন করেছিল এখানে।
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ