২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ায় জাহাজ ডুবির ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা বলে প্রচার
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 31 আগস্ট 2022, 10:07
- আপডেট করা হয়েছে 31 আগস্ট 2022, 10:59
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ১৯ আগস্ট ফেসবুকে এখানে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়। এতে ডুবে যাওয়ার পূ্র্বে একটি জাহাজকে কাত হয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে এবং কিছু টাগবোট ও নৌযানকেও ঘটনাস্থলে দেখা যাচ্ছে।
পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “৬০০ কোটি টাকার তেলবাহী বাংলাদেশি জাহাজডুবি!! জাহাজে তেল লোড দেওয়ার সাথে সাথেই ফাটল ধরে।”
পোস্টটিতে একজন মন্তব্য করেছেন, “জাহাজ লোড দেয়ার আগে সেফটি যাচাই করা দরকার ছিল।” আরেকজন লিখেছেন, "বাংলাদেশের উপর গজব পড়তেছে।"
ক্লিপটি একইরকম দাবি সহকারে ফেসবুকে এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়েছে।
কিন্তু দাবিটি অসত্য।
ইন্দোনেশিয়ান জাহাজ দুর্ঘটনা
গুগল কীওয়ার্ড ও রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় ভিডিওটি ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউটিউবে ইন্দোনেশিয়ান মেরিন নির্মাণ কোম্পানি আরকানান্ত ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রকাশিত হয়।
ভিডিওটির ক্যাপশনে জাহাজটির নাম উইহান সেজাহতেরা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, জাহাজটি মধ্য ইন্দোনেশিয়ার তেলুক লামোং বন্দরে ডুবেছে।
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) ও ২০১৫ সালে ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওর (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:
ভিডিওটিতে ক্যামেরার পেছনে এক ব্যক্তিকে ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়।
ক্লিপটির শুরুতে সেই ব্যক্তিকে বলেন, “দেখুন, জাহাজটি থেকে অনেক যাত্রী লাফ দিয়ে পড়ছেন।”
২০১৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি কমিটি একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে বলা হয়, ঘটনাটির পর ২১২ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে লেখা রয়েছে, “এই ঘটনাটিতে কোন মৃত্যুরে ঘটনা ঘটেনি।”
প্রতিবেদনটিতে উইহান সেজাহতেরা জাহাজের একটি ছবিও আছে যা বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিওর সাথে মিলে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও খবরটি এসেছে। দেখুন এখানে ও এখানে।
২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটিসিআই ও বেরিতা সাতুও ঘটনাটির অনুরূপ ফুটেজ প্রকাশ করে।
তাছাড়া অদ্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এএফপি বাংলাদেশে চলতি মাসে কোন জাহাজ দুর্ঘটনার খবর পায়নি।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ