এটি ২০১৭ সালে কাবা শরীফে এক সৌদি নাগরিক কর্তৃক পেট্রোল নিক্ষেপের ভিডিও

  • নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
  • প্রকাশিত 31 আগস্ট 2022, 07:55
  • 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
  • লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
ফেসবুকে একটি ভিডিও কয়েক হাজার বার দেখা হয়েছ যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, এটি সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফে এক ইরানি ব্যক্তি কর্তৃক দুধ ঢালার ভিডিও। একইসাথে সেই ব্যক্তি কাবা শরীফকে শিবলিঙ্গ বলে দাবি করেছেন বলে পোস্টগুলোতে বলা হয়। দাবিটি অসত্য; ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কাবায় এক সৌদি নাগরিকের পেট্রোল নিক্ষেপের খবরেরে সাথে ভিডিওটি অনলাইনে পাওয়া যায়।

গত ২৩ আগস্ট ফেসবুকে এখানে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়। পোস্টটি এক হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে।

ভিডিওটিতে সাদা পোশাক ও হলুদ চাঁদর পরিহিত এক ব্যক্তিকে একটি দেয়ালে তরল কিছু ছিটাতে দেখা যায়। আরবীতে তিনি বলতে থাকেন, “দূরে থাকুন, দূরে থাকুন....এদের কোন ধর্ম নাই, এরা ইসলাম ধর্মের নামে ব্যবসা করছে, ব্যবসা করছে আপনার ধর্ম ও জাতি নিয়ে। খোদার কসম, এরা আপনাকে বিক্রি করে দিচ্ছে ঠিক যেভাবে আমাকে করেছে।”

পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “ইরানের একটি যুবক মক্কায় গিয়ে দুধ ঢেলে বলেছে যে ওর পূর্বপুরুষ হিন্দু ছিল আর এটা শিবলিঙ্গ।”

Image
( Mohammad MAZED)

 

শিবলিঙ্গ হিন্দু উপাস্য শিবের একটি প্রতীকচিহ্ন। হিন্দু মন্দিরগুলিতে সাধারণত শিবলিঙ্গে দুধ ও পানি ছিটিয়ে শিবের পূজা করা হয়। 

ভিডিওটি একইরকম দাবিসহকারে ফেসবুকে এখানে এখানে শেয়ার করা হয়েছে। 

কিন্তু দাবিটি অসত্য; ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সৌদি সংবাদমাধ্যম আল সাবক এর এই প্রতিবেদনে কাবার নিরাপত্তা বাহিনীর এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, এই ব্যক্তি নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্নাহুতি দিতে চেয়েছিলেন। 

“১৪৩৮ হিজরীর ৯ জমাদিউল আউয়াল (৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭) তারিখে কাবা শরীফে চারপাশে তাওয়াফরত অবস্থায় নিজ কাপড়ে পেট্রোল ঢেলে চল্লিশ বছর বয়স্ক এক নাগরিক আত্নহত্যার চেষ্টা করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।”

“ব্যাপারটি লক্ষ্য করার সাথে সাথে নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে নিবৃত্ত করেন এবং নিজ গায়ে আগুন দেয়ার আগেই তাকে গ্রেফতার করেন। তার কর্মকান্ড দেখে বোঝা যায় যে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ।”

ইসলামে তাওয়াফ মানে কাবা ঘরকে কেন্দ্র করে সাত বার প্রদক্ষিণ করাকে বোঝায়। 

২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারির অন্যান্য প্রতিবেদনেও খবরটি এসেছে। দেখুুন এখানে এখানে

ভিডিওটি ঘটনার বর্ণনা সহকারে এখানে ও ইনস্টাগ্রামে এখানে প্রকাশিত হয়।

নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে), ইসলামিক ইনফরমেশন ওয়েবসাইটের ভিডিও (মধ্যে) ও ইনস্টাগ্রামের ভিডিওর (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:

Image

তাছাড়া ইসলামিক ইনফরমেশন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভিডিওতে সেই ব্যক্তির হাতের বোতলে লাল রংয়ের তরল কিছু দেখতে পাওয়া যায়, এবং দুধের রং লাল নয়।

Image
( Mohammad MAZED)

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ