চট্টগ্রামে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ট্রেন-মাইক্রো দুর্ঘটনার সাথে এই ভিডিওর কোন সম্পর্ক নেই
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 9 আগস্ট 2022, 09:55
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ৩১ জুলাই ফেসবুকে একটি পোস্টে ভিডিওটি শেয়ার করা হয় যার ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “চট্টগ্রামে ট্রেন দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগের ভিডিও উদ্ধার! মৃত্যু কতটা সন্নিকটে।”
“মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিমিষেই ১১টি তরতাজা প্রাণ কেড়ে নিলো পাশাপাশি তাদের পরিবারে আর্তনাদ ও হাজারো স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গেল।”
“দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। দোয়া করি আল্লাহ যেনো জান্নাতবাসী করুন আমীন।”
গত ২৯ জুলাই বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বের জেলা চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি মাইক্রোবাস ও ট্রেনের সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হন। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
প্রতিবেদনটি অনুসারে, সংঘর্ষে নিহতরা শিক্ষক ও ছাত্র যারা একটি পিকনিক থেকে ফিরছিলেন।
ভিডিওটি একইরকম দাবি সহকারে ফেসবুকে এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়।
তবে ভিডিও ক্লিপটি এই দুর্ঘটনার নয়, বরং এর কয়েকদিন আগে ধারণ করা।
দুর্ঘটনার সাথে ক্লিপটির সম্পর্ক নেই
গুগল কীওয়ার্ড সার্চে দেখা যায় ভিডিও ক্লিপটি সংঘর্ষের দুই দিন আগে অর্থাৎ ২৭ জুলাই সাজ্জাদ নামের এক টিকটক ব্যবহারকারি তার টিকটক একাউন্টে পোস্ট করেন।
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) ও টিকটকে পোস্ট করা ভিডিওর (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেয়া হলো:
ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্টের জবাবে সাজ্জাদ তার টিকটকে কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেন এবং দুর্ঘটনার সাথে তার এবং তার সঙ্গীদের কোন সম্পর্ক না থাকার কথা জানান।
টিকটক ভিডিওর সূত্র ধরে এই ভিডিওতে দৃশ্যমান এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায় যিনি একইভাবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।
এএইচ আবির নামের এই ফেসবুক ব্যবহারকারি গত ৩১ জুলাই তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন যেখানে তিনি বলেন, “আমি আমার একটি ভিডিও নিয়ে কথা বলতে এই ফেসবুক লাইভটি করছি। আমার ছোট ভাই তার টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে 'ব্যাচেলরদের ট্যুর যেমন হয়' এরকম শিরোনামে পোস্ট করে।”
“কিন্তু সেখানে এক ব্যক্তি এই ভিডিওটি মিরসরাইয়ে দুর্ঘটনার ঠিক আগ মুহুর্তের বলে মন্তব্য করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। অথচ দাবিটি সত্য নয়।”
“এজন্য আমি সেদিন যে হলুদ টি-শার্ট পরেছিলাম আজ আবার সেটি পরে লাইভে এসেছি। ভাইরাল ভিডিওটি দেখে আমাদের বন্ধুবান্ধব ও আত্নীয়-স্বজন দুশ্চিন্তা করছেন, আসলে এই দাবিটি মিথ্যা ও গুজব।”
এছাড়া সাজ্জাদ তার ছোট ভাই বলে তিনি জানান।
এএফপি আবিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “মিরসরাইয়ের দুর্ঘটনার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা কোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হইনি।”
“গত ২৪ জুলাই আমরা ১৬ জন চট্টগ্রামের বাঁশখালী ইকোপার্কে ঘুরতে যাই। সেখানে যাওয়ার সময় আমি মোবাইলে এই ভিডিওটি ধারণ করি যেখানে আমরা গান গাইছিলাম। এই ভিডিওটি পরবর্তীতে আমার ছোট ভাই তার টিকটক থেকে পোস্ট করে।”
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ