ভিডিওটি পুলিশের সাথে বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষের, নুপুর শর্মার বাড়িতে হামলার নয়
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 30 জুন 2022, 22:43
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
গত ১২ জুন তারিখে ফেসবুকে ভিডিওটি এখানে শেয়ার করা হয়।
বাংলা ভাষায় ক্যাপশনে লেখা হয়: "আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের কলিজার টুকরা প্রিয় নবী কে অপমান করা সেই ভারতের নুপুর শর্মার বাসভবনে ভাংচুর করেছে ভারতীয় জনগণ।"
ভিডিওটি ২১ হাজার বারের বেশি ভিউ হয়েছে।
গত জুন মাসের শুরুর দিকে একটি ভারতীয় টিভি চ্যানেলের টকশোতে নবী মুহাম্মদ ও তার সবচেয়ে ছোট স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর প্রতিবাদের মুখে ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্রের পদ থেকে বরখাস্ত হন নুপুর শর্মা।
ভারতের হিন্দু-জাতীয়তাবাদী সরকারের কট্টরপন্থী মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্বপালন করা নুপুর শর্মার মন্তব্যের পর ভারতে এবং প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোতে প্রতিবাদ শুরু হয়।
নবীকে নিয়ে মন্তব্যের প্রতিবাদে শর্মার বাড়িতে ভারতীয় জনগন হামলার করেছে এমন দাবি সহকারে ভিডিও এখানে এবং এখানেও শেয়ার করা হয়েছে।
যদিও দাবিটি অসত্য।
কালেক্টর অফিসে প্রতিবাদ
কীওয়ার্ড এবং রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভিডিওটি ইউটিউবে এখানে পাওয়া গেছে, যা ভারতীয় টিভি চ্যানেল 'অডিশা টিভি'তে গত ৬ জানুয়ারি সম্প্রচারিত হয়েছে।
ইউটিউবে ভিডিওটির শিরোনাম ছিল: "ভদ্রাকে কালেক্টর অফিসের বাইরে বিজেপি কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ"।
কালেক্টর হলেন ভারতীয় সরকারের জেলা পর্যায়ের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা যিনি কর সংগ্রহ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকেন।
ভদ্রাক ভারতের ওড়িষ্যা রাজ্যের একটি শহর।
নিচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) অডিশা টিভির ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওর (ডানে) তুলনামূলক কয়েকটি স্ক্রিনশট দেয়া হল:
অডিশা টিভির অন্য আরেক রিপোর্টেও ফুটেজটি ব্যবহৃত হয়েছে।
একই ঘটনায় টিভি চ্যানেলটির ওয়েবসাইটেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে: "কালেক্টর অফিসের বাইরে পুলিশের সাথে হাতাহাতির ঘটনায় ভদ্রাক জেলা বিজেপির অন্তত আট কর্মীকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে।"
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রামিয়া'র আরেক প্রতিবেদনে স্থানীয় পুলিশ সুপার চরণ সিং মিনাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে: "একটি সমাবেশের সময় ঘটনাটি ঘটেছে এবং আইন অনুযায়ী এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া হবে।"
"কালেক্টর অফিসে যথেষ্ট নিরাত্তার ব্যবস্থা ছিল। তবে যারা জোর করে সেখানে প্রবেশ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।"
জুন মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত নুপুর শর্মার বাড়িতে ভাঙচুরের কোন খবর এএফপি পায় নি। তবে তাকে হত্যার হুমকি প্রদানের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ