এটি ২০২১ সালে ইন্দোনেশিয়ায় সংঘটিত বন্যার ভিডিও, ভারতের আসামের নয়
- নিবন্ধটি তিন বছরেরও বেশি পুরনো।
- প্রকাশিত 25 মে 2022, 09:24
- 1 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ, এএফপি ইন্ডিয়া
ভিডিওটি গত ১৮ মে ফেসবুকে এখানে শেয়ার করা হয়।
পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে ভারতের আসামে একটি ব্রিজ ধসে গেছে!”
২০২২ সালের মে মাসে ভারতের আসাম ও বাংলাদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে সংঘটিত আকস্মিক বন্যার প্রভাবে কয়েক মিলিয়ন মানুষ পানিবন্দী ও প্রায় ৫৭ জনের মৃত্যু হলে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়ায়।
ভিডিওটি একইরকম দাবিসহকারে ফেসবুকে এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়।
ভারতেও অনুরূপ দাবিসহকারে ভিডিও ক্লিপটি ফেসবুক ও টুইটারে ছড়ায়।
তবে দাবিটি অসত্য।
ভিডিও ক্লিপটিতে একজনকে কয়েকবার “হাবিস” বলতে শোনা যায়, ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় যার অর্থ “শেষ” বা “সমাপ্ত”।
সেতুটি ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সেই ব্যক্তিকে “পুরনো সেতুটি শেষ” বলতে শোনা যায়।
রিভার্স ইমেজ সার্চ ও কীওয়ার্ড সার্চে দেখা যায় এই ভিডিওটি ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা হয়।
পোস্টটির ক্যাপশনে ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় লেখা রয়েছে, “রবিবার, ৪ এপ্রিল। পূর্ব সুম্বার ওয়াইনগাপুতে কাম্বানিরু সেতু বন্যায় ধ্বংস হয়ে যায়।”
View this post on Instagram
ওয়াইনগাপু ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব নুসা তেঙ্গারা প্রদেশের পূর্ব সুম্বা দ্বীপের একটি শহর।
২০২১ সালের ৫ এপ্রিল স্থানীয় সংবাদমাধ্যমেও আকস্মিক বন্যার খবরের সাথে এখানে ও এখানে ভিডিওটি প্রকাশিত হয়। একটি প্রতিবেদনে সেতুটির নাম কাম্বানিরু সেতু বলে উল্লেখ রয়েছে।
২০১৬ সালের আগস্টে গুগল স্ট্রিটভিউয়ে কাম্বানিরু সেতুর এই ছবির সাথেও ফেসবুকে ছড়ানো ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।
২০২১ সালের এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অংশে ঘূর্ণিঝড় সেরোজার প্রভাবে সংঘটিত আকস্মিক বন্যা নিয়ে এএফপির প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ