এই ভিডিওটি দশ বছর ধরে অক্ষত মৃতদেহের নয়

ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে এটি একজন কুরআনে হাফেজের দশ বছর ধরে অক্ষত মৃতদেহের ভিডিও। দাবিটি অসত্য; ভিডিওটি মূলত ইন্দোনেশিয়ার একজন কারাবন্দীর যিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে ২০১৮ সালে একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। 

গত ১৭ এপ্রিল ফেসবুকে এখানে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়। 

পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “আল্লাহু আকবার একজন হাফেজে কুরআনের লাশ দশ বছর পরেও অক্ষত অবস্থায় আছে।”

দৃশ্যমান করুন গোপন করুন

কন্টেন্ট সতর্কতা

Image
বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট গত ১১ মে ২০২২ তারিখে নেয়া

পবিত্র কুরআনের সম্পূর্ণ মুখস্তকারীকে কুরআনে হাফেজ বলা হয়।  

ভিডিওটিতে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটি মৃতদেহকে ঘিরে কিছু মানুষ তাকে স্পর্শ করতে দেখা যায়। 

একই ভিডিও ফেসবুকে এখানে এখানে একইরকম দাবিসহকারে শেয়ার করা হয়।  

দাবিটি অসত্য। 

ভিডিওটি ২০১৮ সালের জুলাই থেকে অনলাইনে পাওয়া যায়। এতে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই কারাবন্দী অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করা ইন্দোনেশিয়ান ব্যক্তি ইয়াসির বিন সামরিনকে দেখা যাচ্ছে। 

২০১৮ সালের ২২ জুলাই ইউটিউবে ভিডিওটি পোস্ট করে শিরোনামে লেখা হয়, “সৃষ্টিকর্তা সুনিপুন। সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী ইয়াসির বিন সামরিনের সুন্দর মৃত্যু।”

একই ভিডিও ইন্দোনেশিয়ায় ভিন্ন একটি অসত্য দাবি সহকারে ফেসবুকে ছড়ালে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ইন্দোনেশিয়া পুলিশের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে তা শেয়ার করা হয়। 

ভিডিওর সাথে সংযুক্ত একটি প্যারায় লেখা রয়েছে, “কবরে সমাহিত কিন্তু এখনো অক্ষত দাবি করে ইউটিউবে ছড়ানো ভিডিওটির দাবিটি সত্য নয়। ভিডিওটি ইমাম সমুদ্রের নয়, বরং পশ্চিম জাভার বোগরের গুনুং সিন্দুর কারাগারে থাকা সন্ত্রাসী ইয়াসির বিন সামরিনের মৃতদেহের। ইয়াসির ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই দক্ষিণ তানগেরাং রিজিওনাল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।”

পোস্টটির ক্যাপশনেও একই কথা লেখা রয়েছে।

এখানে এখানে প্রকাশিত ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ইন্দোনেশিয়া পুলিশের মুখপাত্রের দেয়া বিবৃতিতে লেখা রয়েছে, “এটি গুনুং সিন্দুরে থাকা বন্দি ইয়াসির বিন সামরিনের ভিডিও।”

২০১৭ সালের ১ নভেম্বর সিএনএন ইন্দোনেশিয়ায় প্রকাশিত এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইয়াসির বিন সামরিন দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করার দায়ে বিমা রিজেন্সি থেকে গ্রেফতার হন।

ভিডিওটি এর আগে ভিন্ন দাবি সহকারে পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায় সামাজিক মাধ্যমে ছড়ালে এএফপি এখানে এখানে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। 

১৩ মে, ২০২২ This article was amended to change the header image and add a graphic image warning to the first screenshot.

এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?

আমাদের সাথে যোগাযোগ