ভিডিওটি ২০১৯ সালে একটি রুশ বিমান দুর্ঘটনার, আরব আমিরাতে বিমানে আগুনের নয়
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 24 এপ্রিল 2022, 11:38
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২4। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ভিডিও ক্লিপটি গত ১৫ এপ্রিল ফেসবুকে এখানে শেয়ার করা হয়।
পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “পাকিস্তান হতে আসা 521 Emarat airlines শারজাহ এয়ারপোর্ট অবতরণ করার সময় লেনডিং গিয়ার বল্ক হয়ে যাওয়ার মাটিতে আচড়ে পড়ে, ২০৮ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৮ জন মৃত্যু বরণ করেন, ৩৮ জন প্রানে বাঁচলেও তাদের অবস্থা গুরুতর।”
চার মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে বিমানবন্দরে একটি প্লেন থেকে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া উড়তে এবং যাত্রীদের বিমানটির জরুরী বহির্গমন পথ দিয়ে বের হতে দেখা যায়।
ভিডিওটি একইরকম দাবিসহকারে ফেসবুকে এখানে ও এখানে শেয়ার হয় যা কয়েক হাজারবার দেখা হয়েছে।
তবে দাবিটি অসত্য।
২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত শারজা বিমানবন্দরে এমিরেটস এয়ারলাইনসের বিমান দুর্ঘটনার কোন খবর এএফপি খুঁজে পায়নি।
কী-ফ্রেম দিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় একইরকম একটি ভিডিও ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর ইউটিউবে প্রকাশিত হয়।
ভিডিওটির বর্ণনায় লেখা রয়েছে, “২০১৯ সালের ৫ মে মস্কোর শেরেমেতেভো বিমানবন্দরে এরোফ্লটের একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত হন।”
“এরোফ্লট সুখোই সুপারজেট ১০০ উড়োজাহাজটি যখন উত্তরের মার্নমানস্ক শহরে যাচ্ছিল তখন পাইলট কারিগরি ত্রুটির কথা জানান এবং ফিরে আসেন।”
“জরুরী অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।”
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ভিডিও (বামে) ও ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওর (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:
ভিডিওটি নিবিড়ভাবে দেখলে সেখানে বিমানটিতে এরোফ্লটের লোগো দেখতে পাওয়া যায়। নীচে দেওয়া হলো:
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ সালের মে মাসে মস্কোর ব্যস্ততম বিমানবন্দরে জরুরী অবতরণের সময় রাশিয়ান এরোফ্লটের একটি বিমানে আগুন লেগে গেলে তা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় এবং এতে অন্তত: ৪১ জন মৃত্যুবরণ করেন।
এএফপির এই গ্রাফিকে মস্কোর শেরেমেতেভো বিমানবন্দরে বিমানটির জরুরী অবতরণের শেষ মুহুর্তের একটি ধারণা দেয়া আছে।
AFP graphic showing the final moments of SU-1492 as it crash-landed at Sheremetyevo international airport in Moscow@AFPgraphicspic.twitter.com/XSXnBMhWm4
— AFP News Agency (@AFP) May 6, 2019
ওই বছরের ৬ মে এএফপি ঘটনাটির আরেকটি ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করে।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ