
ছবি দুটি বাংলাদেশে শিক্ষক কর্তৃক স্কুলছাত্রকে প্রহারের নয়
- নিবন্ধটি এক বছর পুরনো
- প্রকাশিত 20 এপ্রিল 2022, 16:03
- 2 এক্স মিনিটে পড়ুন
- লেখক: এএফপি বাংলাদেশ
কপিরাইট © এএফপি ২০১৭-২০২৫। এই কন্টেন্টের যেকোন বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ছবি দুটি গত ৬ এপ্রিল ফেসবুকে এখানে শেয়ার করা হয়।
পোস্টটির বাংলা ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, "যশোর শার্শা সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান সাগরকে পিটিয়ে জখম করেছে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদুল ইসলাম। মেহেদী' মানবিক বিভাগের ছাত্র বয়স ১৫।"
ফেসবুক পোস্টগুলোতে এক কিশোরের শরীরের নীচের অংশ অনাবৃত ও আঘাতের চিহ্নে পরিপূর্ণ দেখা যায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে যশোরের এক স্কুলে ইউনিফর্ম না পরার কারণে এক ছাত্রকে স্কুলটির এক শিক্ষক প্রহার করেন এবং সেই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে এবছর এপ্রিলে এরকম কোন ঘটনা সংঘটিত হওয়ার খবর এএফপি খুঁজে পায়নি।
ছবিগুলো একইরকম দাবি সহকারে ফেসবুকে এখানে ও এখানে শেয়ার করা হয়।
দাবিটি অসত্য।
রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায় দুটি ছবির মধ্যে একটি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ইয়েমেনের আল মাহওয়িত শহরে পিতা কর্তৃক ছেলেকে প্রহারের খবরের সাথে পাওয়া যায়।
ছবিটি ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর ইয়েমেনি ভাষার একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, "আল মাহওয়িতে ১৪ বছর বয়সী ছেলেকে নির্যাতনের জন্য রাশিদ মুহাম্মদ আল কাহিলি নামের ৪০ বছর বয়সী পিতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।"
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ছবি (বামে) ও ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবির (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:
একই ছবি ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর একজন স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্ট তার ফেসবুকে শেয়ার করেন।
দুটি ছবির অপরটি ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যম ক্রেটারস্কাই'তে একই ঘটনার খবরের সাথে প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল, "মাহওয়িতে পিতা কর্তৃক ছেলেকে নির্মম প্রহার।"
নীচে বিভ্রান্তিকর ফেসবুক পোস্টের ছবি (বামে) ও ক্রেটারস্কাই'তে প্রকাশিত ছবির (ডানে) একটি তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেওয়া হলো:
এখানে আরবি ভাষায় দেওয়া এক বিবৃতিতে ইয়েমেন সরকারও সেসময় জানায় যে ঘটনার দুই দিন পরই বাবাকে গ্রেফতার করা হয়।
এমন কোনো কন্টেন্ট আছে যা আপনি এএফপি’কে দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করাতে চান?
আমাদের সাথে যোগাযোগ